নয়াদিল্লি: কর্ণাটকে এইচ ডি কুমারস্বামী নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনের পর কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা টুইটারে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে। তাঁর দাবি, বিজেপি একদিন বুঝবে যে সবকিছু কেনা যায় না, সবাইকে ধমকানো যায় না। একদিন সব মিথ্যে প্রকাশ পাবেই।
তিনি যোগ করেন, ততদিন আমাদের দেশবাসীকে এই ব্যাপক দুর্নীতি মানতে হবে। দশকের পর দশক ধরে কঠোর পরিশ্রম ও বলিদান দিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে তোলা হয়েছিল জনস্বার্থ রক্ষা করার জন্য, সেগুলিকে ভেঙে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করার অপচেষ্টা সহ্য করতে হবে মানুষকে।









তিন-সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কটের পর, মঙ্গলবার ২২৫ আসন-বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভার আস্থাভোটে ৯৯-১০৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় কুমারস্বামী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, কর্ণাটকের জোট সরকারকে ফেলতে দেশের অন্যতম বড় হাওয়ালা লেনদেন ও রাজনৈতিক বিভ্রান্তি কার্যকর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয় শাসক জোটের ১৬ জন বিধায়কের-- কংগ্রেসের ১৩ ও জেডিএস-এর ৩ জন -- ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে। এর পাশাপাশি, সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নেন ২ নির্দল বিধায়কও। যে কারণে, সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। পরে, এক কং বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডি নিজের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে সরকারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু, বাকি ১৫ জন তা করেননি।
গত তিন সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা এই রাজনৈতিক সঙ্কট বিভিন্ন পর্যায়ে টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ ছিল। সেখানে বিদ্রোহী বিধায়কদের মুম্বইয়ের হোটেল ও রিসর্টে থাকা থেকে শুরু করে ঘুষ দেওয়া ও ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ, দ্রুত আস্থাভোটের দাবি নিয়ে বিদ্রোহীদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া, মামলা শুনানি, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ--সবকিছুই দেখেছে দেশবাসী। শেষমেশ, মঙ্গলবার, বিধানসভায় আস্থাভোটে পতন হয় জোট সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কুমারস্বামী।