নয়াদিল্লি: আগামী ১৯ জুলাই থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করল সংসদ বিষয় মন্ত্রিসভা কমিটি। সংবাদসংস্থা  সূত্রে এ কথাই জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রায় একমাস ধরে সংসদের বাদল অধিবেশন হবে। এই পর্বে ২০ টি সেশনের সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত, সংসদের বাদল অধিবেশন জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের আগে শেষ হয়। 
সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সেখানে সাংসদরা ছাড়াও আর যাঁরা আসবেন, তাঁদের করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ নেওয়া থাকবে। 
ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্বের ঢেউ তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে সারা দেশে। প্রচুর সংখ্যায় মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রচুর। এরই প্রেক্ষাপটেই বসতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। 
আসন্ন অধিবেশনের আগে রাজ্যসভা সচিবালয়ের কাছে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য রয়েছে,  উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, উচ্চকক্ষের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ১৭৯ জন সাংসদ করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। 
লোকসভার ৫৪০ সাংসদের মধ্যে ৪০৩ জনই করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। বাকি সাংসদদের অধিকাংশই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
সংসদের আসন্ন অধিবেশনে বিরোধীরা সরকারকে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে নিশানা করতে পারে।   অন্যদিকে, করোনা টিকা নীতি নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে পারে সরকার। সুপ্রিম কোর্টও এই নীতির সমালোচনা করেছিল। পরে কেন্দ্র টিকা নীতিতে বদল এনেছে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। 
এরইমধ্যে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলন সপ্তম মাসে পড়েছে। এই আন্দোলন নিয়েও শাসক ও বিরোধীদের বাকযুদ্ধে সরগরম হতে পারে সংসদের উভয়কক্ষই। কয়েক মাসের মধ্যে দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশও। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন অধিবেশনে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কও দেখা যেতে পারে। 
এছাড়াও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও সরকারকে নিশানা করতে পারে বিরোধীরা।