নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) এ বছরের দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করল। দ্বাদশের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া বা বাতিল করার দাবি উঠছিল। এরই মধ্যে এদিন শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর শিক্ষামন্ত্রক পরীক্ষা বাতিল ও স্থগিতের ঘোষণা করল।


দশম শ্রেণীর পরীক্ষার ফল বোর্ডের তৈরি মাপকাঠি অনুযায়ী স্থির করা হবে। দ্বাদশের পরীক্ষা পরে হবে। বোর্ড আগামী ১ জুন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।


সংবাদসংস্থাকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার ভিত্তিতে দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রোমোশন দেওয়া হবে। এই পর্যালোচনায় সন্তুষ্ট না হলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে পরীক্ষার জন্য বসতে পারবে।


২০২১-এর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রাম নরেশ পোখরিয়াল,প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, স্কুল ও উচ্চ  শিক্ষা সচিব ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত ও দশমের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


 


এর আগে করোনার দাপট বাড়ায় সিবিএসই-র এ বছরের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি ওঠে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল সিবিএসই-র বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছে। 
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) পরীক্ষা রদের আর্জি জানান। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, পরীক্ষায় সামিল থাকবে প্রায় ছয় লক্ষ পড়ুয়া এবং সেইসঙ্গে এক লক্ষ শিক্ষকও থাকবেন। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি কোভিড ১৯ হটস্পট হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দিল্লিতে মহামারীর চতুর্থ ঢেউ খুবই মারাত্মক হয়ে উঠেছে এবং এর প্রভাব তরুণ ও শিশুদের ওপর পড়ছে। তাই সিবিএসই-কে বোর্ড পরীক্ষা রদের আর্জি জানাচ্ছি।


দ্বাদশ ও দশমের  প্রায় লক্ষ পড়ুয়াও অনলাইন পিটিশনে এ বছরের বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের দাবি তোলে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, এমনকি অভিনেতা সোনু সুদের মতো ব্যক্তিরা পড়ুয়াদের দাবি সমর্থন করেন।


 


 


 


 


 


বিস্তারিত আসছে...