নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বাড়ল ১১ শতাংশ। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর এদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মহার্ঘভাতা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তিনটি কিস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের যে মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা স্থগিত রাখা হয়। তবে আজ সেই সিদ্ধান্ত বদল করার কথা জানাল কেন্দ্র। আজকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১, জানুয়ারি ২০২০, ১ জুলাই ২০২০ এবং ১ জানুয়ারি ২০২১-এ যে তিনবার মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে লাভবান হচ্ছেন প্রায় ৫২ লক্ষ কর্মী এবং ৬০ লক্ষ পেনশনভোগী। উৎসবের মরসুমের আগে তাঁদের হাতে বাড়তি অর্থ থাকবে।
গত সপ্তাহে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জয়েন্ট কাউন্সিল মেশিনারি মহার্ঘভাতার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়। এরপরেই আজ এই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মহার্ঘভাতা হল ২৮ শতাংশ।
সূত্রের খবর, সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মহার্ঘভাতা ও ডিয়ারনেস রিলিফ এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেওয়া হতে পারে। গত বছরের এপ্রিল থেকে মহার্ঘভাতা বন্ধ করে দিয়ে ৩৭,৫৩০.০৮ কোটি টাকা বাঁচাতে পেরেছে কেন্দ্র। লকডাউনের ফলে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কট সামাল দেওয়ার জন্য সেই টাকা কাজে লাগানো হয়েছে।
অন্য একটি সূত্র থেকে আবার জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহার্ঘভাতার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও, সেপ্টেম্বর থেকেই তা দেওয়া হবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে জানা গিয়েছিল, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়া দরকার বলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে। সেই কারণে তাঁরা এ বছরের ১ জুলাই থেকে এরিয়ার পেতে পারেন। তবে আজ এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।