নয়াদিল্লি: জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। বিশেষ করে শৈলশহরগুলিতে পর্যটকদের ঢল। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা একটু কমতেই ফের অসচেতনতার ছবি দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। প্রেস বিবৃতিতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ‘বিশ্বে অতিমারীর ইতিহাস ও প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট, করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী এবং আসন্ন। খুব দুঃখের সঙ্গে আমাদের এটা জানাতে হচ্ছে যে দেশের বহু অংশে সরকার এবং সাধারণ জনগণ খুব বেশি ঢিলেমি দিয়ে দিয়েছে। কোভিড বিধি না মেনেই তারা জমায়েত করছে।’


কেন্দ্রীয় সরকারও মানুষের মধ্যে এই অসচেতনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, ‘আমরা যখন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা বলছি, আমরা এটিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে দেখছি। এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি না। আমাদের যে দায়িত্ব আছে, সেটা পালন করছি না। কাছে আমাদের অনুরোধ, সচেতন ও দায়িত্ববান থাকুন।’


নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পল বলেছেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে কোনওভাবেই ভারতে হানা দিতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট বলেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ কবে ভারতে আসবে সেটা নিয়ে আলোচনা না করে আমাদের একে রোখার চেষ্টা করতে হবে।’


স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জানিয়েছেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য আমরা ১১টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি ছাড়াও মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, কেরল, ওড়িশাতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে ফের করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণেই আমরা সতর্কতা অবলম্বন করেছি।’ 


স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্টের মাঝামাঝি সময়েই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে সেপ্টেম্বরে। 


আইআইটি কানপুরের গবেষণায় আরও একটি সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। সেটি হল, নতুন কোনও করোনার প্রজাতি বিশেষত ডেল্টা প্লাস ভয়াবহ আকার নিলে সেপ্টেম্বরেই তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে। তবে, পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হলে তৃতীয় ঢেউ কিছুটা পিছিয়ে নভেম্বরে আসতে পারে।