নয়াদিল্লি: উচ্চবর্ণের মধ্যে আর্থিক দুর্বল, গরিবদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এ জন্য সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে একটি বিলও তৈরি করে ফেলেছে, যা আগামীকাল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষদিন পেশ করা হবে বলে খবর। সংবিধানের ১৫ ও ১৬ ধারা সংশোধন করতে হবে।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কয়েক মাস বাকি থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বলা হচ্ছে, এভাবে ভোটবাক্সের কথা চিন্তা করেই উচ্চবর্ণকে কাছে টানতে কল্পতরু হল মোদি সরকার।
বর্তমানে যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তার অতিরিক্ত এই সংরক্ষণ চালু হবে। একটি সূত্র বলেছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন, যারা এখনও সংরক্ষণের সুবিধা পান না, তাঁদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে এই সংরক্ষণ। সূত্রটি জানিয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ৮ লাখ টাকার নীচে, সর্বোচ্চ ৫ একর জমি আছে, সম্ভবত, তারা এই সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন।
এক বিজেপি নেতার মত, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরফে তোলা সংরক্ষণের দাবির মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে সরকারের। নানা সম্প্রদায়ের দাবি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় বা ওবিসিরা ২৭ শতাংশ সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুবিধা পান, এবার তাদেরও ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এই সুবিধা দেওয়া হোক।
দলিত নেতা তথা সামাজিক ন্যয় রাষ্ট্রমন্ত্রী রামদাস আঠওয়ালে অতীতে উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণের সমর্থনে সওয়াল করেছেন কোটা বন্ধ করা যাবে না, উচ্চবর্ণের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকুক।
বিজেপি সাংসদ উদিত রাজও বলেছেন, আর্থিক পিছিয়ে পড়া লোকজনের সংরক্ষণ পুরোপুরি সমর্থন করি। ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হোক। সংসদের এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ক্ষমতা আছে।