উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: যে কমিটি নিয়ে এত-কাণ্ড...বিধানসভার সেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম বৈঠকেই অনুপস্থিত থাকলেন মুকুল রায়!সূত্রের খবর, শেষ মুহুর্তে অধ্যক্ষকে ইমেল করে আসতে না পারার কথা জানান কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তাঁর পরিবর্তে শুক্রবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকের পৌরহিত্য করেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। যদিও, বৈঠকে অংশ নেননি বিজেপি বিধায়করা।


  এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, শাসক দল পিএসিকে গুরুত্ব দেয় না। খরচ করব আমরা, হিসেব রাখব আমরা। ভূ-ভারতে কোথাও হয় না। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের কৃতি মানুষের জায়গায়, উচ্চ মাধ্যমিক পাসকে পলিটিক্যাল কারে চেয়ারে বসালে যা হয় তাই হচ্ছে।


অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক তথা পিএসি-র সদস্য তাপস রায় বলেছেন, মুকুল রায়ের না থাকা ও বিজেপি সদস্যদের অনুপস্থিতি দুটি আলাদা বিষয়। মুকুল দিল্লিতে রয়েছেন। আসতে না পারার কথা অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন। আর পিএসি-র বৈঠকে না থাকা বিজেপির পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত।


মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে দ্বিতীয় শুনানি হয়। উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, মুকুল রায় হাজির ছিলেন না। প্রায় পাঁচিশ মিনিট চলে শুনানি। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষের কাছে মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত একাধিক নথি জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেগুলি গ্রহণ করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিজেপির দাবি নিয়ে, ১৭ অগাস্ট অধ্যক্ষের ঘরে পরবর্তী শুনানি হবে।


এদিকে, মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়৷ সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিজেপি বিধায়কের আইনজীবী বলেন, বিধানসভার বিরোধী দল মনোনীত প্রার্থী পিএসি-’র চেয়ারম্যান হন, এটাই বিধি। তা ভেঙে এবার বিরোধী দল মনোনয়ন দেয়নি, এমন একজনকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। পিএসি-র চেয়ারম্যানের কাজ জনস্বার্থমূলক। তাই, বিরোধী দল মনোনয়ন দেয়নি, এমন একজনকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা জনস্বার্থে আদালত গ্রাহ্য মামলা। আমার মক্কেল একজন বিধায়ক, তিনি এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এটা বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপের বিষয়।


পাল্টা, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, সংবিধানের ২১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধানসভার সিদ্ধান্তে আদালতের হস্তক্ষেপ খাটে না। এরপরই বিচরপতি বলেন, মামলাটি কেন আদালতগ্রাহ্য তা ৪ অগাস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জানাবেন মামলাকারী এবং জনস্বার্থ মামলাকারীকে উত্তর দেবে রাজ্য। ১০ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।