জেটলি অসুস্থ, কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। এখন তিনি আমেরিকায় চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকেই তিনি টুইট করেছেন, ভারতে অপরাধের সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা কম কারণ অ্যাডভেঞ্চারের প্রবণতা ও নিজেকে ক্ষমতাশালী ভাবার পাগলামি তদন্তকারীদের গ্রাস করে, পেশাদারিত্ব চলে যায় পিছনের সারিতে। দেখুন তাঁর টুইট
ফৌজদারি ষড়যন্ত্র ও জালিয়াতির অভিযোগে চন্দা ও তাঁর স্বামী দীপক কোছারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর করেছে সিবিআই। তাদের বক্তব্য, কোছারের আমলে ভিডিওকন গোষ্ঠীকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক যে বিরাট ঋণ দেয়, সে ব্যাপারে ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রধান কে ভি কামাথ, আইসিআই ব্যাঙ্কের বর্তমান সিইও সন্দীপ বক্সি, এ দেশে গোল্ডম্যান সাকসের চেয়ারম্যান সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের সিইও জারিন দারুওয়ালা, টাটা ক্যাপিটাল প্রধান রাজীব সভরওয়াল ও টাটা ক্যাপিটালের বরিষ্ঠ উপদেষ্টা হোমি খুসরোখানের বিরুদ্ধেও তদন্ত জরুরি।
আইসিআইয়ের ঋণদানের নীতি না মেনে ওই ঋণ মঞ্জুর করা হয় বলে অভিযোগ, প্রতিদানে চন্দা কোছারের স্বামীর সংস্থায় ভিডিওকন প্রধান বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু জেটলির প্রশ্ন, যদি ব্যাঙ্কিং দুনিয়ার সব বড় নামের বিরুদ্ধেই প্রমাণ ছাড়া বা প্রমাণ সাপেক্ষ তদন্ত করতে হয়, তাহলে তাতে আখেরে উপকার হবে না ক্ষতি হবে তা দেখা উচিত। এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের ফলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, মানুষের সম্মান নষ্ট হয়, শেষমেষ সমালোচনাই জোটে, কারও অপরাধ প্রমাণ হয় না। গোটা প্রক্রিয়ার ফল একটাই, অভিযুক্তদের সম্মান ও অর্থহানি। বহু লোকের কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায় এতে।