উত্তর ২৪ পরগনা: মৃত্যুর পর ১২ ঘণ্টা পার। চাঁদপাড়ায় বাড়িতেই দেহ পড়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর।


জানা গিয়েছে, গতকাল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে চেষ্টা করেও হাসপাতালে বেড মেলেনি। মেলেনি অক্সিজেন এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সও, অভিযোগ পরিবারের। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় প্রাক্তন পুলিশকর্মী দুলালচন্দ্র মজুমদারের। তারপর থেকে বাড়িতেই পড়ে মৃতদেহ। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।


এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিত্সার পরামর্শ দেন চিকিত্সক। আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাড়িতেই ওই অধ্যাপকের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়িতেই পড়ে ছিল  মৃতদেহ।


হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের। অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেনি পুরসভা। এরপর এবিপি আনন্দের খবরের জেরে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর করোনা আক্রান্তের দেহ নিয়ে যায় পুরসভা।  


ঘরে পড়ে থেকে, অসহায়ভাবে মৃত্যু হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। কিন্তু, ভয়ে মৃতদেহ সরাতে এগিয়ে আসছেন না কেউ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকছে সেই দেহ। শুধু বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যেই সামনে এল এমন ছ’টি ঘটনা। কোথাও মৃতদেহ পড়ে রইল বারো ঘণ্টা, কোথাও ষোল ঘণ্টা। আবার কোথাও মৃতদেহ পড়ে ছিল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। মৃতদেহের পাশে বসে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে হল পরিজনদের। 


নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বিপ্লব সাহা নামে কোভিড আক্রান্ত প্রৌঢ় বৃহস্পতিবার রাত ২টোর সময় মারা যান। অবশেষে শুক্রবার বিকেল মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায় প্রশাসন। নদিয়ার শক্তিনগরে ৭০ বছরের গৌতম চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় বাড়িতেই মারা যান। ২৪ ঘণ্টা তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকে বাড়িতেই।


কলকাতার গড়ফায়  বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় ৭৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ষোল ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃতদেহ।তিলজলার পিকনিক গার্ডেনের  বাসিন্দা মায়া দাসের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে ১৯ এপ্রিল। বারবার স্বাস্থ্যভবনে চেষ্টা করেও বেড মেলেনি। ২২ এপ্রিল সকালে মারা যান বৃদ্ধা। তারপর দশ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকে মৃতদেহ।সোনারপুরের বাসিন্দা দিলীপকুমার রায় ১৭ তারিখ করোনা আক্রান্ত হন। বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ করেও বেড পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকে মৃতদেহ।