কলকাতা: কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ১৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার করোনা আক্রান্ত। শুধুমাত্র এনআরএসেই সংক্রমিত ৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। 


এই অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সহকারি সুপারদের দায়িত্ব সুপারদের সাহায্য করা। করোনাকালে হাসপাতালের যাবতীয় প্রটোকল মানা হচ্ছে কি না তা দেখাও দায়িত্ব অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের। আর তাই করোনা পরিষেবা ব্য়াহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা। যদিও তাঁরা বলেছেন, আপাতত যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সাহায্য়েই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কোনও অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সহকারি সুপার যাতে আক্রান্ত না হন সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 


করোনাকালে রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। কোথাও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর বাড়িতেই দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ। কোথাও আবার সাধারণ মানুষকেই দেখা গেল নমুনা পরীক্ষা করতে। কোথাও আবার রোগী ভর্তি নিয়ে একাধিক অভিযোগ।  এই আবহে এবার একসঙ্গে ১৬ জন অ্যাসিস্টেন্ট সুপারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নতুন চিন্তার কারণ তৈরি করেছে প্রশাসনের।


এদিকে করোনা আবহে রাজ্যে বেড-সঙ্কটের মাঝেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কড়া বার্তা রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর। স্বাস্থ্য দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মোবাইলে কথা বলছেন করোনা রোগী। এই ছবি একাধিক হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়াই অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে এবং বাড়িতে রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে সিসিইউ অথবা এইচডিইউ-তে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা এবং যাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডেও ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। 


হাসপাতালে যাঁরা নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে হাসপাতালের সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের সুপার ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সিসিইউ ও ওয়ার্ডে গিয়ে সরেজমিনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।