শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা চন্দ্রযান-২ এর। ২২ জুলাই সূচনা হয় এই কর্মসূচি। এটি থ্রি-মডিউলের মহাকাশযান যাতে রয়েছে একটি অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ইসরোর কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হবে। সেই আশাতেই গভীর উতকন্ঠা, কৌতূহল নিয়ে সাগ্ররে প্রহর গুনছে ভারতবাসী, দেশের বিজ্ঞানী মহল। চাঁদের কক্ষে পৌঁছে গোটা অভিযানের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া দুটি রোবট বিক্রম (ল্যান্ডার) ও প্রজ্ঞান (রোভার)। অরবিটার থেকে আলাদা হওয়ার পর তারা চাঁদে সফট-ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করবে। ২২ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অরবিটারের সঙ্গে যু্ক্ত ছিল তারা। গোটা অভিযানের খরচ প্রায় ৯৭৮ কোটি টাকা। ইসরোর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ ভারতীয় সময় রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে ল্যান্ডারকে নামানোর কথা। বিক্রমের ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে, বিশেষত সেখানে জল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের অস্তিত্বের ব্যাপারে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ চালাবে।
ভারত এর আগে চন্দ্রযান-১, মঙ্গলযান অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু চন্দ্রযান-২ কে কেন্দ্র করে অভূতপূর্ব প্রচার চলছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী এক অভূতপূর্ব উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। চন্দ্রযান-২ এর চাঁদের বুকে অবতরণের সাক্ষী হতে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সদর দপ্তরে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানকার কন্ট্রোল রুমে সরাসরি পুরো পর্বটি তাঁর পাশে বসে দেখবে বিভিন্ন স্কুলের কৃতী পড়ুয়ারা। মোদি নিজেও দেশবাসীকে এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে আবেদন করেছেন। বলেছেন, চন্দ্রযান-২ এর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার বিশেষ মুহূর্তগুলি দেখতে সবাইকে আহ্বান করছি। সোস্যাল মিডিয়ায় আপনারা নিজেদের তোলা ছবি শেয়ার করুন। সেগুলির দু-একটা আমিও রিট্যুইট করব।