৩,৮৫০ কেজি ওজনের ‘চন্দ্রযান-২’ এর তিনটি ভাগ। অরবিটার, অর্থাৎ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। ল্যান্ডার, অর্থাৎ যা চন্দ্রযানকে চাঁদের মাটিতে নামাবে, এবং রোভার, যা চাঁদের মাটিতে জল ও অন্যান্য খনিজের সন্ধান চালাবে। গতকাল উত্ক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরেই পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান ২।
চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছতে এই চন্দ্রযান ২ আগামী কয়েক সপ্তাহ কক্ষপথে ঘুরতে থাকবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে অবতরণের কথা চন্দ্রযান ২-র।
ইসরো-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ২ একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। এতে কোনও সন্দেহই নেই। আর এগোচ্ছে সঠিক পথেই।
তিনি বলেছেন, এই অভিযানের কোনও আপডেট নেই।কারণ, এই পর্যায়ে এর কোনও প্রয়োজনই নেই। তবে এরমধ্যে ছোটাখাটো একটা মাইলফলক ছোঁয়া গিয়েছে। সেটা আমরা এখনই জানাচ্ছি না। তবে সঠিক সময়ে তা জানানো হবে।
ভারতের স্বল্প ব্যয়ের মহাকাশ কর্মসূচীর ক্ষেত্রে এই চন্দ্রাভিযান অত্যন্ত বড়সড় একটা পদক্ষেপ। চাঁদের বুকে রোভারের অবতরণের মতো জটিল ও গৌরবজনক অভিযানে নেমেছে ইসরো।
সফল বলে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং-এর কৃতিত্ব অর্জন করবে ভারত।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশ মহাকাশযানের অবতরণ করতে পারেনি।
চন্দ্রযান ২ রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরই মহাকাশযানের সোলার প্যানেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায় এবং ইসরোর টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং ও কম্যান্ড নেটওয়ার্ক সফলভাবে মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইসরো-র পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।