নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে সিবিআই স্বীকার করে নিল, বিজয় মাল্যর লুকআউট নোটিশে ভুল করেছিল তারা। নোটিশে মাল্যকে হেফাজতে নেওয়ার বদলে স্রেফ তাঁর খবর দেওয়ার কথা বলা হয়। তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৫-য় এই লুকআউট নোটিশে পরিবর্তন আনাটা বিচারের ভুল বা এরর অফ জাজমেন্ট ছিল।


লুকআউট নোটিশে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে সিবিআই বলেছে, সে সময় মাল্য তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও ছিল না। কিন্তু ২০১৫-র ১২ অক্টোবর প্রথম লুকআউট সার্কুলার যখন জারি করা হয় ততদিনে মাল্য চলে গিয়েছেন বিদেশে। এ নিয়ে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন সিবিআইকে প্রশ্ন করে, লুকআউট সার্কুলারে যেমনটা বলা হয়েছে, তা মেনে কি মাল্যকে হোফাজতে নিতে হবে? জবাবে তারা জানায়, গ্রেফতার করা বা হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ তিনি একজন সাংসদ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। তাদের শুধু মাল্য কোথায় কোথায় যাতায়াত করেন তার খবর চাই।

সিবিআই সূত্রের খবর, মাল্যর বিরুদ্ধে তদন্ত তখন প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। তারা তখন ৯০০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি মামলায় আইডিবিআইয়ের কাগজপত্র জোগাড় করছিল। সে সময় ২০১৫-র শেষ দিকে মাল্যর বিরুদ্ধে একটি নয়া লুকআউট সার্কুলার জারি হয় যাতে বলা হয় দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে মাল্যর আসা যাওয়ার খবর দিতে হবে। এই সার্কুলার জারি হওয়ার আগেই বাতিল হয়ে যায় মাল্যকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রথম সার্কুলার। এখন সার্কুলারে উল্লেখ না থাকলে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন কোনও ব্যক্তিকে হেফাজতে নিতে পারে না বা পারে না বিমান ধরা থেকে তাঁকে রুখতে। জানা গিয়েছে, মাল্য সে বছর অক্টোবরে বিদেশ যাত্রা করেন ও নভেম্বরে ফিরে আসেন। ফের ডিসেম্বরের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে দুবার ও ২০১৬-র জানুয়ারিতে ফের একবার বিদেশ যান। এই সময়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনবার লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়। একবার দিল্লি ও দুবার মুম্বইতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

সিবিআই বলেছে, তখন মাল্য তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন, তাঁকে বিদেশ যাত্রা আটকে দেওয়ার কোনও কারণ ছিল না তাই হেফাজতের নির্দেশ থাকা লুকআউট সার্কুলার পরিবর্তন করে তারা। সেই সিদ্ধান্ত এরর অফ জাজমেন্ট ছিল। ২০১৬-র ২ মার্চ দেশ ছেড়ে চম্পট দেন বিজয় মাল্য। এখন তিনি ইংল্যান্ডে, ভারত সরকার তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে মামলা লড়ছে।