রায়পুর: বুধবার ছত্তীসগঢ় বিধানসভায় (Chattisgarh Assembly) অভিনব দৃশ্য দেখা গেল। বাজেট অধিবেশনে গোবরের (Cow dung) তৈরি ব্রিফকেস হাতে নিয়ে বিধানসভায় গেলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel)। তিনি এই ব্রিফকেস হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন।


জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরের একটি গোশালায় ১০ দিন ধরে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ ব্রিফকেস। গোবর, আঠা ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্রিফকেসটি। এটির হাতল ও চারপাশ কাঠের। ব্রিফকেসটির উপরে সংস্কৃতে লেখা আছে, ‘গোময়ে বসতে লক্ষ্মী’, যার বাংলা অর্থ, ‘গোবরের মধ্যে থাকেন দেবী লক্ষ্মী’।


সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ছত্তীসগঢ় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। বুধবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হয়। শুরুতেই সবাইকে চমকে দেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই তাঁর এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।


এর আগে ভূপেশ বাঘেল জানান, ছত্তীসগঢ় সরকার কৃষকদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাস্তায় যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুগুলিকেও যাতে ভালভাবে রাখা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জৈব চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার জন্যও সাহায্য করছে সরকার। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে বিধানসভায় গোবরের তৈরি ব্রিফকেস নিয়ে এলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী।


২০২০ সালে ছত্তীসগঢ়ে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছিল, গোপালক ও কৃষকদের কাছ থেকে গোবর কেনা হবে। দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে এই উদ্যোগ নেয় ছত্তীসগঢ়। কংগ্রেসের পর বিজেপি ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতায় এলেও, গরু ও গোবর নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতিতে বদল আসেনি। গোবর কেনার মাধ্যমে গোপালকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার ‘গোবর্ধন ন্যায় যোজনা’-র সূচনা করেন ভূপেশ বাঘেল। তিনি জানান, রাজ্যে রাসায়নিক সারের অভাব রয়েছে। তাই চাষের কাজে সার হিসেবে গোবর ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ছত্তীসগঢ় সরকার।


শুধু ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীই নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বেশ কয়েকজন নেতা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য গোবরের ব্যবহার বৃদ্ধি করার উপর জোর দিচ্ছেন। জৈব চাষে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার হাতেকলমে সেটা করে দেখালেন ভূপেশ বাঘেল।