রায়পুর: ছত্তিসগড়ে পর পর চারবার রামন সিংহের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে চলেছে। ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, সরকার গঠনের দৌড়ে কংগ্রেসকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী কংগ্রেস।

৯০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় কংগ্রেস ৬৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি মাত্র ১২ আসনে। অজিত যোগীর জেসিসি ২ ও অন্যান্যরা ৮ আসনে এগিয়ে।

গতবার কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩৯। কংগ্রেসের চেয়ে ১০ আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তিসগঢ় পাঁচ, সিপিআই, সিপিএম ও গন্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি একটি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে।

পিছিয়ে রয়েছেন রাজ্যের পাঁচমন্ত্রী ব্রিজমোহন অগ্রবাল, কেদার কাশ্যম, মহেশ গাগদা, দয়ালদাস বাঘেল ও অমর অগ্রবাল।

এগিয়ে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ধরমলাল কৌশিক ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বাঘেল যথাক্রমে বিলহা ও পাটন আসনে এগিয়ে রয়েছেন।

বিরোধী দলনেতা টিএস সিংদেও অম্বিকাপুর এবং দ্রুগের কংগ্রেস সাংসদ তামরাধ্বজ সাউ দ্রুগ গ্রামীন আসনে এগিয়ে রয়েছেন।

অজিত যোগী মারওয়াহি আসনে এগিয়ে রয়েছেন।তাঁর স্ত্রী রেনু যোগী কোটা আসনে এগিয়ে।
নিজের আসন রাজনন্দগাওয়ে কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি করুণা শুক্লার কাছে কড়া লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী রামন সিংহ। ২০১৩-তে এই আসনে রামন সিংহ ৩৬,০০০ ভোটে জিতেছিলেন।
ভোট গণনার প্রবনতা অনুযায়ী, রাজ্যের ভোটে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দলের জোট।অনেকেই মনে করেছিলেন, এই জোট কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসাবে।