নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা পি চিদম্বরমের। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের বিধানসভা প্রচারে প্রধানমন্ত্রী পরিবারতন্ত্রের ইস্যু তুলে নেহরু-গাঁধী পরিবারকে নিশানা করে বলেন, কংগ্রেস ৫ বছরের জন্য ওই পরিবারের বাইরের কাউকে দলীয় সভাপতি পদে বসাক। আজ একগুচ্ছ ট্যুইট করে ইউপিএ জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নেহরু-গাঁধী পরিবারের নন, এমন বেশ কয়েকজন দলীয় সভাপতির নামের তালিকা পেশ করেন, কংগ্রেসের ঐতিহ্য তাঁকে মনে করিয়ে দেন। চিদম্বরম ট্যুইটে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিটা একবার ঝালিয়ে নিন, ১৯৪৭ থেকে কংগ্রেস সভাপতিদের মধ্যে রয়েছেন আচার্য কৃপালনী, পট্টভি সীতারামাইয়া, পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন, ইউএন ধেবার, সঞ্জীব রেড্ডি, কামরাজ, নিজলিঙ্গাপ্পা, সি সুব্রহ্মণ্যম, জগজীবন রাম, শঙ্কর দয়াল শর্মা, ডি কে বরুয়া, ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি, পি ভি নরসিমা রাও ও সীতারাম কেশরী। প্রাক-স্বাধীনতা পর্বে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর পাশাপাশি বাবাসাহেব অম্বেডকর, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, কে কামরাজ, মনমোহন সিংহ ও আরও অনেকের নাম করেন, বলেন, কংগ্রেস সমাজের নীচুতলা থেকে আসা এইসব মানুষকে নিয়ে গর্বিত।









পাশাপাশি মোদীকে খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, কে কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন, সেজন্য মাথা ঘামাচ্ছেন, এত সময় খরচ করছেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। এর অর্ধেক সময় খরচ করে তিনি কি বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি, সিবিআই, আরবিআই নিয়ে কিছু বলবেন? কৃষক আত্মহত্যা, চরম বেকারি, গণপিটুনি, ধর্ষণ সহ মহিলা, শিশুদের ওপর নানা অত্যাচার, অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড, গোরক্ষকদের বাড়াবাড়ি, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন কি?
গতকাল ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরের জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে দেশের প্রতি নেহরু-গাঁধী পরিবারের চারটি প্রজন্মের অবদানের খতিয়ান দিতেও বলেন প্রধানমন্ত্রী।