ভোপাল: ২৮ নভেম্বরের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন মাথায় রেখে নির্বাচনী ইস্তাহারে বছরে ১০ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান, সমাজের সব অংশের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিল বিজেপি। ২০০৩ থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে মরিয়া কংগ্রেস। গত বছর মধ্যপ্রেদেশ অশান্ত হয় কৃষক বিক্ষোভে। ফসলের আরও উন্নত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও আরও নানা দাবিতে কৃষকরা রাস্তায় নামেন। চাপে পড়ে কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। কংগ্রেস কৃষক অসন্তোষকে কাজে লাগাতে চাইছে। এই প্রেক্ষাপটে শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দলীয় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন। শিবরাজ, জেটলির পাশাপাশি সেখানে ছিলেন কেন্দ্রের আরও দুই মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও নরেন্দ্র সিংহ টোমার। সেখানে ফি বছর ১০ লাখ বেকারের চাকরি হবে, বলেন শিবরাজ। তাঁরা গরিব ঘরের পড়়ুয়াদের বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করছেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, আমরা রাজ্য ও তার বাসিন্দাদের সামগ্রিক বিকাশের রোডম্যাপ তৈরি করেছি। ক্ষমতায় ফিরলে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা, ছোট চাষিদের বোনাস দেওয়ার কথা জানান শিবরাজ। রাজ্যের প্রতিটি গরিব মানুষকে একটি করে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। কন্যাসন্তানদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শিবরাজ। জানান, নিখরচায় স্কুল থেকে বাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করে হবে মেয়েদের জন্য আর বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশে বেশি মার্কস পাওয়া মেয়েদের সরকার থেকে স্কুটি দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নে বড়সড় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, নর্মদা ও চম্বা এক্সপ্রেসওয়ে হবে। গ্বালিয়র, জব্বলপুর মেট্রো রেল পাবে। মধ্যপ্রদেশে একটি মিনি স্মার্ট সিটি গড়ে উঠবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কংগ্রেস গত শনিবারই ঘোষিত বচন পত্রে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করলে সংস্কৃত ভাষায় গুরুত্ব দেবে, একটি আধ্যাত্মিক দপ্তর খুলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি ১৪ বছরের বনবাসে রামের কল্পিত যাত্রাপথ ‘রামপথ’-কে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা, বাণিজ্যিক ভাবে গোমূত্র ও ঘুঁটে তৈরির কথাও ইস্তাহারে বলেছে কংগ্রেস।