বেজিং: অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফরে তীব্র আপত্তি চিনের। বরাবর অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন রাজ্যের ৩৪-তম স্টেটহুড ডে অর্থাত রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠার দিনে আজ সেখানে সফর করছেন এবং বেশ কয়েকটি শিল্প ও রাস্তা সংক্রান্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন, সেসময় চিনের দাবি, এতে বেজিংয়ের ‘ভৌগোলিক, এলাকাগত সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে এবং পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা মার খেয়েছে’। তারা এই সফরের দৃঢ় বিরোধিতা করছে।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বেজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চিন-ভারত সীমানা বা চিনের তিব্বতের দক্ষিণ অংশের পূর্ব সেক্টর নিয়ে চিনের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার, ধারাবাহিক। চিন সরকার কখনই তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, চিনের তিব্বত অঞ্চলের দক্ষিণ অংশে শাহের সফরের প্রবল বিরোধী তারা কেননা এতে চিনের এলাকাগত সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে, পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস মার খাওয়ার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াও লঙ্ঘন করা হয়েছে। সীমান্ত ইস্যু আরও জটিল হয়ে ওঠে, এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতেও নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করেছে বেজিং।
শুয়াং বলেন, চিনের তরফে ভারতকে বলা হচ্ছে, সীমান্ত সমস্যা আরও জটিল করে তোলার মতো কোনও পদক্ষেপ যেন না করা হয়, সীমান্তে শান্তি, সুস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে জোরদার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
১৯৮৭-র ২০ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল প্রদেশ কেন্দ্রশাসিত এলাকার তকমা ঘুচিয়ে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায়। তারপর থেকে সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ২২ দফা বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে ভারত,চিনের।