‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিকই হয়, তাহলে সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের আসার কারণ কী?’ ‘সামনা’ পত্রিকায় প্রশ্ন তুলেছে তারা।
বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ নিয়েই যেখানে কেন্দ্রের আপত্তি, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাশ্মীর পরিদর্শনে আসাকে কীভাবে মেনে নেওয়া হচ্ছে? ’
মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদ-প্রতিনিধিদের কাশ্মীর আসা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের কেন উপত্যকায় যেতে দেওয়া হবে না?
গুলাম নবি বলেন, ‘শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার নিয়ে আমাকে কাশ্মীর যেতে হয়। তাও নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যেতে দেওয়া হয়। সেই সব জায়গাতেই পুলিশ ৯০ শতাংশ মানুষকে বাড়ি চলে যেতে বলছে। ওখানে প্রতিটি জায়গায় ক্যামেরা আছে। সেখানে দেখা যাবে, প্রতিটি জায়গায় পুলিশ লোকজনকে তাঁদের ঠিকানা জিগ্যেস করছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, তাঁরা যেন সরকার বিরোধী কথা না বলেন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদ-প্রতিনিধিদের কাশ্মীর পরিদর্শণকে ‘কনডাক্টেড ট্যুর’ বলে দাবি করেছেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
তাছাড়াও উপত্যকায় দীর্ঘদিন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকায় প্রায় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন গুলাম নবি।
মঙ্গলবার কাশ্মীরে পৌঁছান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদ-প্রতিনিধিরা।ই উরোপীয় ইউনিয়নের ২৩ জন সাংসদ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।