নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গি হামলা। নির্বিচারে গুলি করে খুন করা হল বাংলার পাঁচ শ্রমিককে।


৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরের বুকে প্রথম বড়সড় জঙ্গি হামলা।বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ।তার আগেই কাশ্মীরের বুকে গণহত্যা করল জঙ্গিরা।

মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় শ্রীনগরে ডাল লেকে যখন শিকারা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা ভ্রমণে ব্যস্ত, ঠিক তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফের রক্তাক্ত হল উপত্যকা।

কাশ্মীরে ফের টার্গেট অ-কাশ্মীরিরা। গত ১৫ দিনে উপত্যকায় খুন হলেন ১১ জন অ-কাশ্মীরি।

মঙ্গলবার ঘড়িতে তখন সন্ধে সাড়ে সাতটা।দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাটরাসুতে একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন মুর্শিদাবাদ থেকে যাওয়া ৬ জন নির্মাণ শ্রমিক।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেইসময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। টেনে হিঁচড়ে বের করা হয় ৬ জন শ্রমিককে। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফাঁকা জায়গায়। সূত্রের খবর, তখনই শ্রমিকদের নির্বিচারে গুলি করতে শুরু করে জঙ্গিরা। ৫ জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও একজন পালাতে সক্ষম হন। যদিও ওই শ্রমিকের পায়ে গুলি লাগে।

গুরুতর জখম অবস্থায় জহুরুদ্দিন নামে ওই শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে নাম জানা গিয়েছে।এরা হলেন কামারউদ্দিন,রফিক আহমেদ,নইম আহমেদ,রফিকুল্লা শেখ,এবং মুরসালিন শেখ।

এদিনই কেন্দ্রের উদ্যোগে উপত্যকায় যান ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ জনের এক প্রতিনিধিদল। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা। তারইমধ্যে এই জঙ্গি হামলা।

জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও আধাসেনা। গোটা এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি