জগদলপুর: ছত্তিশগড়ে ভোটপ্রচারে মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। যে শহুরে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের গরিব আদিবাসী যুবকদের জীবন ছারখার করে দিয়েছে, কংগ্রেস তাদেরই মদত দিচ্ছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
মাওবাদ সমস্যা কবলিত রাজ্যে আজ প্রথম ভোটসভা করলেন তিনি। মোদীর অভিযোগ, মাওবাদী হিংসার ধুয়ো তুলে নকশাল কবলিত বস্তার এলাকার উন্নয়নে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে কিছুই করেনি কংগ্রেস। আর তিনি প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর সমৃদ্ধ, বিকশিত ছত্তিশগড়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না বলে জানান মোদী। বলেন, শহুরে মাওবাদীরা শহরে এয়ারকন্ডিশনড ঘরে আরামে থাকে, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন দেখতে, ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, নকশাল অধ্যুষিত এলাকার আদিবাসী বাচ্চাদের রিমোট কন্ট্রোলে চালায় ওরাই। কংগ্রেসকে প্রশ্ন করছি, সরকার যখন মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, কেন ওরা ওদের পাশে থাকে, আর বস্তারে এসে নকশালপন্থার বিরুদ্ধে কথা বলে।
নকশালদের ‘হীন মানসিকতাধারী দানব’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সরকারগুলি বস্তার এলাকার বিকাশে যথেষ্ট কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন। কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি জনসভায় উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, এমন লোকজনকে ক্ষমা করবেন? এরা ছত্তিশগড়ে জিতবে না। বস্তারে সব আসনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে আপনাদের আবেদন জানাই। অন্য কারও জয় মানে তা বস্তারের স্বপ্নের কলঙ্ক।
কংগ্র্রেস আদিবাসীদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাসা করে বলেও অভিযোগ তুলে মোদী বলেন, জানি না, কেন কংগ্রেস এমন করে।একবার উত্তরপূর্ব ভারতে কোনও একটি জনসভায় আদিবাসী প্রথা মেনে ওদের চূড়া মাথায় পরি। কংগ্রেস নেতারা এ নিয়ে উপহাস করেন, যা আদিবাসী সংস্কৃতির অপমান।
আর কোনও প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতো প্রায়ই বস্তারে আসেননি বলে দাবি করেও মোদী বলেন, আমি খালি হাতে আসিনি। কিছু স্কিম, উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছি আপনাদের। অঞ্চল থেকে গরিবি, বেকারি, ক্ষুধা দূর করতে আমরা কঠিন পরিশ্রম করছি। এখানে সম্পদ আগেও ছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি।