নয়াদিল্লি: পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় নিজের মন্তব্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধু। এবার তাঁকে খোঁচা দিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বললেন, সিধুর তাঁর ‘বন্ধু’ ইমরান খানকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বোঝানো উচিত।
পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর সিধু প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের কাজের জন্য কি সমগ্র একটি দেশকে দায়ী করা উচিত।

দিগ্বিজয় সিংহ ট্যুইটের মাধ্যমে বলেছেন, ‘আমি জানি মোদি ‘ভক্ত’রা আমাকে ট্রোল করবে, তবে এতে আমি পরোয়া করি না। ইমরান খানকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি পছ্ন্দ করি। তিনি ওই মুসলিম মৌলবাদী ও আইএসআই-এর মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মোকাবিলা করতে পারবেন না, আমি বিশ্বাস করতে পারি না’।



দিগ্বিজয় এ ব্যাপারে একাধিক ট্যুইট করেছেন। তিনি পাক প্রধানমন্ত্রীকে হাফিজ সইদ ও আজহার মাসুদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ‘সাহস’ দেখাতেও বলেছেন। দিগ্বিজয় বলেছেন, ওই দুইজন তো ‘স্বঘোষিত সন্ত্রাসবাদের চক্রী’। এমন কাজ করতে পারলে ইমরান শুধু পাকিস্তানকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনতেই সক্ষম হবেন না, সেই সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবেন।



প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধুকেও একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয়। তিনি বলেছেন, ‘নভজ্যোত সিংহ সিধু আপনার বন্ধু ইমরান ভাইকে বোঝান।ওঁর জন্যই আপনাকে গালিগালাজের মুখোমুখি হতে হচ্ছে’।





সারা দেশে নিরীহ কাশ্মীরী পড়ুয়া ও ব্যবসায়ীদের 'অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিগ্রহ' বন্ধ করার কথাও বলেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা কি কাশ্মীরী সহ কাশ্মীর চাই না, কাশ্মীরী ছাড়া? দেশ হিসেবে আমাদের পছন্দ বেছে নিতে হবে’।



দিগ্বিজয় আরও বলেছেন, গত ৭১ বছরে কাশ্মীর কীভাবে কাশ্মীরী মুসলিম ও পণ্ডিতদের সৌভ্রাতৃত্বের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপত্যকা থেকে সাম্প্রদায়িক শত্রুতা ও অশান্তির উপত্যকা হয়ে উঠল, তা দেশ হিসেবে ভারতকে আত্মসমীক্ষা করে দেখতে হবে।




দিগ্বিজয় বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকেই দায় নিতে হবে। আমরা কি কিছু সময়ের জন্য রাজনৈতিক মতপার্থক্য আড়ালে রেখে একজোট হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বৈশিষ্ট্য সাম্প্রদায়িক সংহতি ও কাশ্মীরী মুসলিম ও কাশ্মীরী হিন্দু ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরিয়ে আনতে পারি না?’



এটা সম্ভব বলে মন্তব্য করে দিগ্বিজয় কংগ্রেস, বিজেপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলগুলির নেতৃত্বকে ওই লক্ষ্য পূরণের জন্য আগামী ১০ বছরের একটি পথনির্দেশিকা চূড়ান্ত করার কথা বলেছেন।