জয়ন্ত পাল, কলকাতা: শহরে কোভিশিল্ড আকাল ফের তৈরি হয়েছিল। রাজ্যজুড়েই ভ্যাকসিন সঙ্কট ছিল। সপ্তাহের শুরুতেই ফের রাজ্যে এল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। বিকেল ৪টে ২৫ নাগাদ পুনে থেকে ইন্ডিগো বিমানে করে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয় কলকাতা বিমান বন্দরে। সেখান থেকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বাগবাজার স্টোরে নিয়ে যায় ভ্যাকসিনগুলি।


কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসেছিল আরও ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কোভিশিল্ড, ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের ডোজ। কলকাতা পুরসভা, দঃ ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এই ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে বলে জানান হয়েছিল। 


এমনিতেই জেলায় জেলায় অব্যাহত ভ্যাকসিন ভোগান্তি। দার্জিলিঙের নকশালবাড়িতে ভ্যাকসিনের লাইনে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন পেতে রাত থেকে হত্যে দিয়ে বসে বহু মানুষ। রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ও ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার জেলায় জেলায় বিজেপি-র মশাল মিছিল। মুরলীধর সেন লেন, ভবানীপুর, ঘোলায় মিছিল আটকাল পুলিশ।


রাজ্যে অমিল ভ্যাকসিন। এবার নোটিস দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করল কলকাতা পুরসভা। বাগবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। সেখানে নোটিস লেখা, কেন্দ্র না পাঠানোয় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পেতে হয়রানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এর জন্য যে কেন্দ্রই দায়ী তা সাধারণ মানুষকে জানাতে বিভিন্ন বরোর পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নোটিস ঝোলাতে বলা হয়েছে।


শহরজুড়ে আজও ছবিটা একই ছিল। হালতুতে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, টিকাকরণ বন্ধের নোটিস। শুধু হালতু নয়। এ ছবি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। জোগান নেই। তাই শনিবারও কোভিশিল্ডের কোনও ডোজ দেওয়া হয়নি। নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে কথা। 


এদিকে, ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়েই আবার নিগ্রহের শিকার হলেন কেউ কেউ। চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলাকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। যাদবপুরের বাসিন্দা এই মহিলার অভিযোগ, ফর্ম ফিলআপের জন্য ওই মহিলা পুলিশকর্মীর কাছে পেন চাইলে, নিগৃহীত হন তিনি।