চন্দননগর: সাধু-সন্তদের মতো চেহারায় স্নিগ্ধতা। মুখে স্মিত হাসি। সমাজসেবায় অগ্রগণ্য ভূমিকা নেন।


অথচ সৌম্যদর্শন সেই মতিলাল রায় দেশের তরুণ প্রজন্মের মনে বিপ্লবের বারুদ জ্বালিয়ে রাখতেন। সশস্ত্র বিপ্লবীদের একসূত্রে গাঁথা হোক বা পুলিশের নাগাল এড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চন্দননগরের পৈতৃক বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া, মতিলাল রায় ছিলেন সামনের সারিতে।


হুগলির চন্দননগরকে ইতিহাসবিদরা “বিপ্লবতীর্থ” বলে থাকেন। ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন। অধুনা হুগলির চন্দননগরের ছবিটা কিন্তু বেশ আলাদা। সেখানে তখন ফরাসি উপনিবেশ। যে কারণে গঙ্গার তীরের এই শহরের নাম ছিল “ফরাসডাঙ্গা”।


কলকাতার সঙ্গে মিলের চেয়ে চন্দননগরের অমিল ছিল বেশি। কিন্তু কীভাবে ব্রিটিশ বিরোধী স্রোত বইতে শুরু করল গঙ্গাপাড়ের এই শহরে? ইতিহাস বলছে, ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর ১৭৬৩ সাল পর্যন্ত ৬ বছর চন্দননগর দখল করে রেখেছিল ব্রিটিশরা। মন্দির, মসজিদ ও পুরনো গির্জা ছাড়া শহরের সব বড় বাড়ি, এমনকী, ইন্দ্রনারায়ণের প্রাসাদ পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশরা। বক্সিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বক্সিরা ক্রীতদাস, সেনাবাহিনি ও বাড়ি ভাঙার লোকলস্করদের দিয়ে বেশিরভাগ নির্মাণ ভেঙে দিয়েছিল। চন্দননগরের বাসিন্দা, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ফরাসিদের ও শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের আটক করে ভীষণ অত্যাচার চালিয়েছিল ব্রিটিশরা। এখন যেখানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, সেখানে হরিণবাড়ি জেলখানা ছিল। সেখানে ফরাসিদের বন্দি করে রাখা হয়েছিল।“


মোট চারবার চন্দননগর দখল করেছিল ব্রিটিশ সেনা। ইতিহাস বলছে, ইউরোপে যখনই ইংরেজদের সঙ্গে ফরাসিদের যুদ্ধ বাধত, চন্দননগরে আক্রমণ করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। চন্দননগরে ফরাসি আইনব্যবস্থা অনেক বেশি উদার ছিল। অনেক জনহিতকর কার্যকলাপ চালু হয়। তাই ব্রিটিশদের প্রতি চন্দননগরের মানুষের তীব্র ঘৃণা জন্মেছিল।


সেই সূত্র ধরেই চন্দননগরে ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ শুরু। ঊনিশ শতকের শেষের দিকে একের পর এক অগ্নিপুরুষের জন্ম এই শহরে। মতিলাল রায়, কানাইলাল দত্ত, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, পরে রাসবিহারী বসু জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটান চন্দননগরে। ঊনিশ শতকের শেষের দিকে চন্দননগরে বেশ কিছু ইংরেজি শিক্ষার স্কুল চালু হয়। চন্দননগরে ফরাসিদের গৌরবসূর্য তখন অস্তাগামী। ব্যবসাবাণিজ্য সবই কলকাতা কেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। কলকাতার দিকে চন্দননগরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের যাতায়াত শুরু হয়। তবে ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণা নিয়েই যাতায়াত চলত। সেই সময় ব্রিটিশ ভারত থেকে চন্দননগরে যাতায়াত করতে হলে পুলিশের কাছে লিখিয়ে আসতে হতো। ব্রিটিশ পুলিশ গঙ্গাপাড়ের এই শহরে সহজে ঢুকতে পারত না। যে কারণে চন্দননগর তখন ব্রিটিশ পুলিশের নজর এড়িয়ে আত্মগোপন করার একটা বড় আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে।


সেই সময় সশস্ত্র বিপ্লবের শপথ নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল যুগান্তর দল ও অনুশীলন সমিতি। দুই দলই উপলব্ধি করে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চন্দননগরে আশ্রয় নেওয়া নিরাপদ বিকল্প। জনশ্রুতি হচ্ছে, ১৯০৪ সালে বিজয়াদশমীর দিন সন্ন্যাসীর বেশে চন্দননগরে আসেন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষের ভাই তথা যুগান্তর দলের কর্ণধার বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ। উনি এসে মতিলাল রায়ের কাছে যান। সেই সময় মতিলাল, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, রাসবিহারী বসু, সাগরকালী ঘোষের মতো কয়েকজন অভিন্নহৃদয় বন্ধু মিলে সৎপথালম্বী সম্প্রদায় বলে একটি দল গড়ে তুলেছিলেন। যাঁদের কাজ ছিল দেশপ্রেমের প্রচার, পুণ্যার্থীদের সাহায্য, শরীরচর্চা, দুঃস্থদের সাহায্য করা। পাশাপাশি তাঁরা জাতীয়তাবাদী কথাবার্তাও বলতেন। কিন্তু মাত্র ১৭-১৮ বা ১৯ বছরের তরুণদের মুখ দিয়ে এমন কথা কে বলাতেন?


চারুচন্দ্র রায়। ইতিহাসবিদ বিশ্বনাথ বলছেন, “সেই সময় বাগবাজারে চারুচন্দ্র রায় একটি দল তৈরি করেছিলেন। চন্দননগরের ডুপ্লে স্কুল (বর্তমানে কানাইলাল বিদ্যামন্দির) ও ডুপ্লে কলেজে (বর্তমানে চন্দননগর কলেজ) শিক্ষকতা করতেন তিনি। পরে তিনি চন্দননগরের মেয়রও হয়েছিলেন। সেই সময় গোন্দলপাড়ায় একটি দল তৈরি করেছিলেন বসন্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে এই শহরেই তিনটি বিপ্লবী আন্দোলনের যোগসূত্র তৈরি হয়। যুগান্তর, অনুশীলন সমিতি ও চন্দননগরের নিজস্ব দল। কলকাতার পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট যাকে তাঁর রিপোর্টে চন্দননগর গ্যাং বলে উল্লেখ করেন। কানাইলাল দত্তও সেই দলে যোগ দেন। এই সমণ্বয় সম্ভব হয়েছিল মতিলাল রায়ের জন্যই। তিনিই বারীন ঘোষের সঙ্গে চারুচন্দ্রের পরিচয় করিয়ে দেন।“



১৯০৫ সাল থেকে গোটা চন্দননগর জুড়ে সশস্ত্র বিপ্লবী কার্যকলাপ শুরু হয়ে যায়। গোপনে তরুণ বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করছিলেন চারুচন্দ্র। তাঁর তত্ত্বাবধানেই কানাইলালের বেড়ে ওঠা। অস্ত্র হোক বা যুগান্তর সংবাদপত্র, সব জড়ো করা হতো চন্দননগরেই। চারুচন্দ্র থাকতেন প্রচ্ছন্নভাবে। আর সব দায়িত্ব নিপুণভাবে সামলাতেন মতিলাল।


বিশ্বনাথ বলছেন, “বিপ্লবীরা সেই সময় ঠিক করলেন, এবার অ্যাকশন শুরু করতে হবে। কীভাবে? মানকুণ্ডু ও চন্দননগরের মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে ছোটলাট ফুলারের গাড়ি আসবে। সেই গাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেন বিপ্লবীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বোমা আগে ফেটে যাওয়ায় প্রাণরক্ষা হয় ফুলারের। এরপর কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকির মৃত্যু বিপ্লবীদের কাছে একটা ধাক্কা ছিল।“


সেই সময় মতিলাল রায়ের প্রতিষ্ঠা করা প্রবর্ত্তক সঙ্ঘের উজ্জ্বল ভূমিকা দেখা যায়। মতিলালের জন্যই দুটি ভিন্ন দর্শনের দলের একসঙ্গে থাকা আর কাজ করা শুরু। পরে অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তরকে মিলিয়ে একটা দল গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা শুরু হয় চন্দননগরেই।


১৮৮৩ সালের ৫ জানুয়ারি চন্দননগরের বোড়াইচণ্ডীতলায় জন্ম মতিলালের। চন্দননগরেই পড়াশোনা শুরু। এরপর কলকাতায় তাঁর বাবার কর্মস্থল ফ্রি চার্চ ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। মাত্র ৬ বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মতিলাল। ৪১ দিন পর আরোগ্যলাভ করেন। এরপর থেকেই তিনি শিবের আরাধনা শুরু করেন।


১৮৯৭ সালে মতিলাল চন্দননগরে চলে আসেন। রাধারানি দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯০২ সালে মাত্র ৯ মাস বয়সে তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তানের মৃত্যু হয়।



বারীন্দ্রকুমারের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছিলেন মতিলাল। কানাইলাল ও শ্রীশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। মতিলাল আর শ্রীশচন্দ্র ছিলেন মাসতুতো ভাই। সেই কারণে দুজনের ঘনিষ্ঠতা ছিলই। মণীন্দ্রনাথ নায়েক ও সাগরকালী ঘোষ এরপর মতিলালের সঙ্গে যোগ দেন। নিয়ে আসেন আশুতোষ নিয়োগীকে। মতিলালের কাজ ছিল বিভিন্ন জায়গায় বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা তরুণদের একত্রিত করা।


বিপ্লবী ইস্তাহার রাখা থেকে শুরু করে অস্ত্র সংগ্রহ করা, সবেতেই অগ্রণী ভূমিকা ছিল মতিলাল রায়ের। সমাজসেবার অন্তরালে বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক থেকে শুরু করে ব্যর্থতার বিশ্লেষণ, সবেরই দায়িত্ব ছিল মতিলালের।


কানাইলালের বারীন ঘোষের সঙ্গে কলকাতা যাত্রার খবর জানতেন না মতিলাল। পরে তিনি তাঁর বই “আমার দেখা বিপ্লব ও বিপ্লবী”-তে লিখেছেন, তিনি কানাইলালের কাছে কলকাতা যাত্রার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে কানাইলাল বলেছিলেন, পিএম সফল করতে যাব। অর্থাৎ পলিটিক্যাল মার্ডার।


তবে ব্রিটিশ পুলিশের নজর পড়ল চন্দননগরে। চারুচন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মতিলাল সতর্ক হয়ে যান। চন্দননগরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। মণীন্দ্রনাথ নায়েক, নারায়ণ ঘোষ, নগেন ঘোষকে কলকাতা যাওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক করেন তিনি।


মতিলালের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বাবুরাম পারারকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। বিপ্লবীদের কাহিনিগুলোকে লিখে যাওয়ার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা ছিল মতিলালের। তাঁর লেখনীতেই জানা যায় যে, কানাইলাল দত্ত তাঁর মরদেহ নিয়ে জমকালো শেষযাত্রার কথা বলেছিলেন। যাতে জনমানসে তা বিপ্লব চেতনা তৈরি করে।


১৯১৫ সালে মতিলালের সম্পাদনায় প্রবর্ত্তক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকায় বিপ্লবী দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জীবনের মৌলিক ভাবনা প্রকাশিত হতে থাকে। প্রবর্ত্তক পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন মতিলাল।


কানাইলাল ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ফাঁসির পর ১৯০৯ সালের বর্ষাকাল। চন্দননগরের এক প্রান্তে মতিলাল একটি বৈঠক করেন বাবুরাম, রাসবিহারী বসু ও শ্রীশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে। তাতে নতুন করে বিপ্লব জাগিয়ে তোলার শপথ নেওয়া হয়।


১৯১০ সালে শ্রী অরবিন্দ গোপনে নৌকা করে জলপথে কলকাতা থেকে চন্দননগরে আসেন। মতিলাল তাঁকে আশ্রয় দেন। বোড়াইচণ্ডীতলায় মতিলালের বাড়িতে প্রায় ৪০ দিন আত্মগোপন করেছিলেন অরবিন্দ।


মতিলালের বোড়াইচণ্ডীতলার বাড়ি ঐতিহাসিকভাবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে যেমন আশ্রয় নিয়েছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, তেমনই এসেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির বৈঠকখানায় এসে গল্প করে, গান গেয়ে সময় কাটিয়েছেন। এসেছিলেন কাজি নজরুল ইসলাম, সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা। এই বাড়ি থেকেই একটার পর একটা বোমা তৈরি করেছেন মণীন্দ্রনাথ নায়েক। কালীপুজোর রাতে বোড়াইচণ্ডীতলায় মতিলালের বাড়িতেই বোমা ফাটিয়ে দেখা হয়। বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারপাশ।


মৌলবী বাজারে গর্ডন হত্যার সময় ও ১৯১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর দিল্লিতে রাসবিহারীর বসুর নেতৃত্বে যে বোমা বড়লাট হার্ডিঞ্জের ওপর ফেলা হয়, যাতে হাতির পিঠ থেকে পড়ে যান হার্ডিঞ্জ, সেই বোমা মতিলালের তত্ত্বাবধানেই মণীন্দ্রনাথ নায়েক তৈরি করেছিলেন।


বাঘা যতীন ছিলেন মতিলালের বন্ধু। একাধিকবার আশ্রয় নিয়েছেন মতিলালের পৈতৃক ভিটেতে।


১৯১৬, কলকাতায় ইন্সপেক্টর গোল্ডির সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করেন মতিলাল। ততদিনে যুগান্তর দলের একাধিক সদস্যের দ্বীপান্তর হয়ে গিয়েছে। মতিলাল ব্রিটিশ পুলিশকে জানান, তিনি বিপ্লবীদের শান্ত করার কাজ করতে চান। মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন তিনি। তাঁর প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ পুলিশের কবল থেকে সমস্ত তরুণকে ছাড়িয়ে আনা। পুলিশের সঙ্গে তাঁর আদানপ্রদান করা প্রচুর চিঠি সংরক্ষিত রয়েছে এখনও। মুখে মধ্যস্থতা করার কথা বললেও ভেতরে ভেতরে অরুণচন্দ্র দত্তকে মতিলাল বলেছিলেন, আবার নতুন করে বিপ্লবের আগুন জ্বালতে হবে।


এরপর মানুষ গড়ার কাজে নামেন মতিলাল রায়। ছাত্রাবাস তৈরি করেন। অনাথদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাধারানি রায়ও ছিলেন সমাজের সামনে দৃষ্টান্ত। বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁদের দেখাশোনার দায়িত্ব সামলানো একা হাতে করতেন। অরবিন্দ ঘোষ যখন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তাঁকে আশ্রয় দেন মতিলাল-রাধারানিই।


১৯২৯ সালে প্রয়াত হন রাধারানি। আর স্বাধীনতার ১২ বছর পর, ১৯৫৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রয়াত হন মতিলাল। তাঁর হাতে তৈরি প্রবর্ত্তক আশ্রম এখন ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায়। তবে দেশের তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করার ব্রত নিয়ে এখনও কাজ করে চলেছে।


তথ্যসূত্র: ইতিহাসবিদ অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়


সৌম্যদর্শন চেহারায় বিপ্লবের আগুন, মতিলালের বাড়ি ছিল স্বাধীনতা যোদ্ধাদের আশ্রয়