নয়াদিল্লি: ধীরে ধীরে ভারতে ছড়াচ্ছে করোনার প্রকোপ। এতদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হানা দিলেও, ভারতে সেভাবে প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, গত কয়েকদিন সেই চিত্র একেবারে পাল্টে গিয়েছে। এবার ভারতেও প্রবেশ করেছে নোভেল করোনাভাইরাস।


এই মুহূর্তে ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৬। এর মধ্যে তিনজন কেরলের, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আজ এ নিয়ে বৈঠকে বসছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ইরান, ইতালি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ভারতে আসার ভিসা আপাতত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি ১৪ দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরকে দেশের সব বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করতে হবে। এই দেশগুলি হল চিন, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, হংকং, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ইরান, ইতালি ও মাকাও।


গতকাল, দিল্লি থেকে শুরু করে নয়ডা, লখনউতে  কয়েকজনের দেহে করোনার প্রমাণ মিলেছে। এরপরই, দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর পরামর্শ, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সচেতনতা অবলম্বন করুন মানুষ।


প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, কোভিড-১৯ বা নোভেল করোনাভাইরাসের ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে একযোগে এই নিয়ে কাজ করছে একাধিক রাজ্য প্রশাসন। বিদেশ থেকে আগত সকলকে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা এপর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার পর্যটকের স্ক্রিনিং করা হয়েছে মুম্বই বিমানবন্দরে।


এই পরিস্থিতিতে, এদিন জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সূত্রের দাবি, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দিল্লির একাধিক প্রথম সারির হাসপাতালের সুপারইন্টেনডেন্টরা।


জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল নেতৃত্বাধীন দিল্লি প্রশাসনও। সেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, মুখ্যসচিব বিজয় কুমার দেব এবং স্বাস্থ্যসচিব। গতকালই, প্যারাসিটামল সহ ২৬টি অষুধের উপাদানের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি,


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নোভেল করোনা ভাইরাসে চিনে এপর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। চিনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে দশ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের।