নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চিনের উহান শহর থেকে দেশে ফেরানো হল ৬৪৫ জন ভারতীয়কে। তাঁদের একটি বিশেষ শিবিরে রাখা হয়েছে। দু’সপ্তাহ পর্যবেক্ষেণে রাখা হবে তাঁদের। এই ব্যক্তিদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ না পাওয়া গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আজ সকালেই সার ও রাসায়নিক মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মালব্য আমাকে জানিয়েছেন, ভারতে যাতে চিনের মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে তাঁর মন্ত্রক ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। করোনাভাইরাস চিহ্নিত করার জন্য দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর, কুয়ালা লামপুর, হংকং থেকে যে যাত্রীরা আসছেন, তাঁদের প্রত্যেককে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিমানবন্দরগুলিতে ২,৫১,৪৪৭ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশের ১২টি বড় ও ৬৫টি ছোট বন্দরেও পরীক্ষা চলছে।

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে আটকে থাকা জাহাজে আছেন শতাধিক ভারতীয়। তাঁদের উদ্ধার করার বিষয়ে বিদেশমন্ত্রক সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন হর্ষবর্ধন। ৩,৭১১ জনকে নিয়ে ওই জাহাজটি কয়েকদিন আগে জাপানের উপকূলে পৌঁছয়। গত মাসে হংকংয়ে এই জাহাজ থেকে নেমে যাওয়া এক যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াতেই জাহাজটিকে আটকে দেওয়া হয়।