নয়াদিল্লি: কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শেষ। কাশ্মীরে ‘মানব ঢাল’ তৈরির ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর লিতুল গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত বছর সেনার নিয়ম ভেঙে এক কাশ্মীরি যুবতীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় রবিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সেনা আদালত। এখনও শাস্তি ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর এতে পদোন্নতি আটকে যাবে মেজর গগৈয়ের। এমনকি কেড়ে নেওয়া হতে পারে তাঁর ‘সিনিয়রিটি’ পদও।


উল্লেখ্য, মেজর গগৈয়ের সঙ্গেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁর গাড়ি চালক সমীরকেও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউনিটের সঙ্গে ছিলেন না। তার অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি সমীর। তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।


প্রসঙ্গত, গত বছর কাশ্মীরিদের ইটবর্ষণের মোকাবিলা করতে এক কাশ্মীরি যুবককেই জিপের বেয়নেটে বেঁধে ‘মানব ঢাল’ বানিয়েছিলেন মেজর গগৈ। সেই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই সমালোচিত হন মেজর গগৈ। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই তাঁর এমন ‘অমানবিক’ আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমন অবস্থায় মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে এক কাশ্মীরি যুবতীর সঙ্গে অন্যায়ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ ওঠে। কাশ্মীরেই একটি হোটেল ঘর ভাড়া করে মেজর গগৈ ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় গগৈয়ের দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ১৮ বছরের কাশ্মীরি যুবতীও জানিয়েছেন গগৈয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতা চলত। তিনি স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে ওই যুবতীয় জানিয়েছেন, ফেসবুকে মেজরের একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকেই তাঁদের মধ্যে কথাবার্তার শুরু। ফেসবুকে উবায়েদ আরমান নামের প্রোফাইল রয়েছে তাঁর।


এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, “ভারতীয় সেনার কোনও অফিসার দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর শাস্তি হবে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেব।”