গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেটাডিনের মতো অ্যান্টিসেপটিক ওষুধ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৯৯.৯% করোনভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। চিকিত্সায় টপিক্যাল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে বেটাডিন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে পোভিডোন-আয়োডিন উপাদান রয়েছে। এই সলিউশন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে সিঙ্গাপুরের গবেষকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বিভিন্ন হাসপাতালেও এখন এই ওষুধটির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিশেষত চিকিত্সক-সহ সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের বেটাডিন ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা শুধু নন, জাপান সরকারও কিন্তু বিশ্বাস করে বেটাডিন করোনা নিরাময়ে কার্যকরী। জাপানের গভর্নর ওসাকা বেটাডিনকে সার্স-সিওভি-২'এর ওষুধ হিসাবে অনেক আগেই প্রচার শুরু করেন। জাপানি গবেষকেরা ৪১ কোভিড রোগীর উপর বেটাডিন প্রয়োগ করে দেখেন। এঁদের প্রত্যেকের হালকা উপসর্গ ছিল। জলে পোভিডোন-আয়োডিন মিশিয়ে, আক্রান্তদের দিনে চারবার করে গার্গল করানো হয়। দেখা যায় আশাতীত ফল মিলেছে।
তবে বিটাডিন নিয়ে এই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।