নয়াদিল্লি: ৩ মে কি সারা দেশ থেকে লকডাউন উঠে যাবে, না কি বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ? এ বিষয়ে দেশজুড়ে জল্পনা চলছে। বিশেষ করে যে অঞ্চলগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই অঞ্চলগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন চিকিৎসকরা। তবে রাজ্য সরকারগুলি এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত। দেশের একমাত্র রাজ্য হিসেবে তেলঙ্গানা ৭ মে পর্যন্ত লকডাউন জরি রাখার কথা ঘোষণা করেছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে কী হবে এখনও বলা যাচ্ছে না।


দিল্লি সরকারের করোনা মোকাবিলা কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক এস কে সারিন জানিয়েছেন, ‘ভারতে এখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় লকডাউন তুলে নিলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তখন আর পরিস্থিতি সামলানো যাবে না। দিল্লিতে বেশ কয়েকটি কনটেইনমেন্ট জোন আছে। তাই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোই বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে। ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন রাখা উচিত। কারণ, তারপর থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে বলে আশা করা যায়।’

মহারাষ্ট্র সরকারও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সংক্রমণ রোখা। আক্রান্তের সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে লকডাউনের মেয়াদও বাড়াতে হবে। প্রয়োজন হলে আমরা ৩ মে-র পর কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে আরও ১৫ দিন লকডাউন রাখব। গোটা মুম্বই বা পুণেতেও লকডাউন জারি থাকতে পারে।’

মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘হটস্পট’ অঞ্চলগুলিতে ৩ মে-র পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। আরও কয়েকদিন লকডাউন থাকতে পারে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। বিজেপি-শাসিত অন্য রাজ্যগুলি কেন্দ্রের পরামর্শের অপেক্ষায়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএসআর জগন মোহন রেড্ডি আবার গোটা জেলার বদলে শুধু কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন জারি রাখার পক্ষে। সূত্রের খবর, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য লকডাউন শিথিল করার পক্ষে সওয়াল করতে পারে রাজস্থান, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, কেরল, অন্ধ্র ও বিহার সরকার।