নয়াদিল্লি:করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সারা দেশেই ত্রাসের সঞ্চার করেছেন। অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নির্দিষ্ট বিধিনিয়মের পাশাপাশি অন্যতম হাতিয়ার হল টিকা। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে টিকাকরণের গতি একেবারই সন্তোষজনক নয়। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। এই কারণেই টিকাকরণের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, শেষপর্যন্ত করোনা অতিমারী থেকে কীভাবে মিলবে মুক্তি?
শুক্রবারের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, দেশে মাত্র ১১.৩ লক্ষ টিকাকরণ হয়েছে। এরমধ্যে ৬.২৯ লক্ষ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকাদান করা হয়েছে। ৪.৭৪ লক্ষ মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। টিকাকরণের এই গতি খুবই কম। এর আগে বৃহস্পতিবার ২৩ লক্ষ, বুধবার ২১ লক্ষ, মঙ্গলবার ২৭ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ১৮ কোটি ডোজ টিকাকরণ হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১৩.৯৩ কোটি মানুষ।
টিকাকরণ অভিযানে টিকার অভাবই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। দেশে এমন মাত্র ছয়টি রাজ্য রয়েছে, যেখানে এক কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যগুলি হল-গুজরাত, কর্ণাটক, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।
আগামী দুই মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন সংকট অবসান হতে পারে
দেশে আগামী দুই মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের এই সংকট কাটতে পারে। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, সম্ভবত আগামী দুই মাসে বেশি সংখ্যায় টিকা পাওয়া যাবে। কেননা, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ভারতে টিকার উৎপাদনের কাজ শুরু করবে। এছাড়াও দেশের বাইরে থেকেও ভ্যাকসিন আসবে। একইসঙ্গে গুলেরিয়া আরও বলেছেন যে, আন্তর্তাজিক ক্ষেত্রে ও দেশে ভ্যাকসিন কিছু অভাব থাকবেই।
৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে ১৯২ লক্ষ কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে কেন্দ্র
কেন্দ্র সরকার শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, আগামী পক্ষে ১৬ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯২ লক্ষ করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে। এই পক্ষে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ১৯১.৯৯ লক্ষ ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিখরচায় দেওয়া হবে। বিগত পক্ষে অর্থাৎ ১-১৫ মে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ১.৭ কোটির বেশি টিকা দিয়েছে। এছাড়াও রাজ্য ও সেইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মে মাস থেকে সরকারি টিকা কেনার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।