উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তোপের মুখে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। বিধানসভা ভোটে জোট-ফর্মুলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্য।


‘পার্টি কংগ্রেসের গৃহীত নীতি মানা হয়নি,’ অভিযোগের আঙুল বাংলার সিপিএমের দিকে।


‘অসাম্প্রদায়িক সমস্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। পার্টি কংগ্রেসের এটাই ছিল সিদ্ধান্ত। সেই পথেই জোট হয়েছে বাংলায়,’ পাল্টা যুক্তি বাংলার সিপিএমের। 


এবারের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি সিপিএম। বামফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলিরও একই হাল। কংগ্রেসও কোনও আসন পায়নি। সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে একমাত্র আইএসএফ-ই একটি আসন পেয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার দলের অন্দরেই জোট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিমান-সূর্যকান্তরা। 


গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। তাতে দেখা যায় ধরাশায়ী পরিস্থিতি তিন দলের জোট সংযুক্ত মোর্চার। সেদিনই এবিপি আনন্দের ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “যেসব নেতারা উপর থেকে নির্দেশ দেয়, এই বিপর্যয়ের দায় তাদের নিতে হবে। আমার দলের যেসব নেতারা বলেন, আমরা ভোটের রাজনীতি করি না। রাস্তায় থাকি, তাদের হাতে জনতা জনার্দন ফুটো বাটি ধরিয়ে দিয়েছে। দলের সিস্টেম উলঙ্গ হয়ে গেছে। আদ্যিকালের ভাবনা ছেড়ে আরও অনেক সংস্কার দলে আসা প্রয়োজন।''


এরপর সরব হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি রাজ্যে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার জন্য তৃণমূলকে  কুর্নিশ জানিয়েছেন। রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন,  “বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান দরকার। গোল গোল কথা বললে হবে না। দায় নিতে হবে নেতৃত্বকেই।’’ 


শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তন্ময় ভট্টাচার্যকে ৩ মাসের জন্য সেন্সর করে সিপিএম। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও সমালোচনা করা হয় রাজ্য কমিটির বৈঠকে। এই বৈঠকে রাজ্য কমিটির অধিকাংশ সদস্যই প্রশ্ন তোলেন, হঠাৎ কেন আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট? এ নিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দিকেই আঙুল তোলেন তাঁরা। তবে এরপরেও আইএসএফ-কে জোট থেকে বাদ দিতে রাজি হননি সূর্যকান্ত। এবার অবশ্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাও জোট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।