ভুবনেশ্বর: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে আছড়ে পড়তে চলেছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণী। ৩ মে বিকেলেই ফণী আসছে বলে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে যুগ্ম ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তা কেন্দ্র। এই বার্তা পাওয়ার পরই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ওড়িশায়। ইতিমধ্যেই পুরী ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। সতর্ক করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশকেও।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, এমনিতে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই থাকে। তবে বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত হওয়া ফণী সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের থেকে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে। ফণীর গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফণী মূলত আছড়ে পড়বে ওড়িশার গোপালপুর ও চন্দবালিতেই। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছুঁয়ে যাবে ওড়িশার জগত্সিংহপুর, কটক, জাজপুর, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গকে। যার ফলে ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করছেন হাওয়াবিদরা। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলেও। সংশ্লিষ্টমহল জানাচ্ছে, ‘ফণী’ সাম্প্রতিক সময়ের ঘূর্ণিঝড় ‘তিতল’-র থেকেও অধিক শক্তিশালী।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ গোটা ওড়িশা উপকূলে মত্সজীবীদের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিশেষ ত্রাণ পরিষেবা দফতরের কমিশনার বি পি শেঠি জানিয়েছেন, “২ মে থেকেই ওড়িশার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। সমস্ত পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পরই পরীক্ষার নয়া সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই ৪৫ সদস্য সম্মিলিত একাধিক দল গঠন করে ফেলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মোট ৪১টি দলকে তিন রাজ্যে পাঠানো হবে। বাংলায় আসবে ৫টি দল। অন্ধ্রপ্রদেশে পাঠানো হবে ৮টি দল। আর ওড়িশায় কাজ করবে ২৮টি দল।