গোয়া: গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে গত কয়েক মাস ধরে প্যাংক্রিয়াসের অসুখে ভুগতে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল গাঁধী। আজ পানাজিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্য্যালয়ে (সিএমও) প্রায় ৫ মিনিট তাঁদের কথা হয়। কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু অবশ্য জানা যায়নি। তবে সোমবারই কংগ্রেস সভাপতি যে ভাষায় ট্যুইটে রাফাল ডিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদি, বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন, তার পরদিনই পর্রীকরকে তাঁর দেখতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে।
কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গী গোয়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর সাংবাদিকদের বলেন, পর্রীকরের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিতেই সৌজন্য সাক্ষাত্কারে যান কংগ্রেস সভাপতি। অন্য আর কিছু নিয়ে তাঁদের কথা হয়নি।





গোয়ার এক মন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবির অডিওটেপ ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় সম্প্রতি। অডিওটেপে নাকি বিশ্বজিত্ রানে নামে গোয়ার ওই মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, পর্রীকরের কাছে রাফাল সংক্রান্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে। রানে অডিওটেপের বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করলেও ব্যাপক শোরগোল হয়। গতকাল রাহুল ট্যুইট করেন, রাফাল নিয়ে গোয়ায় অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসার পর ৩০ দিন কেটে গেলেও কোনও এফআইআর দায়ের বা তদন্ত, কিছুই হল না। মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটা স্পষ্ট ওই অডিওটেপ সত্যি এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকরের কাছে রাফাল নিয়ে বিস্ফোরক, গোপন নথি, তথ্যপ্রমাণ আছে, যেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে তিনি চাপে রাখতে পারছেন।
রানে অডিওটেপটি প্রকাশ্যে আসতেই তার বিষয়বস্তু খারিজ করে বলেন, ওটা বানানো। কংগ্রেস এতটাই নীচে নেমেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে অডিওটেপ বিকৃত করেছে। পর্রীকর কখনই রাফাল বা কোনও নথিপত্রের উল্লেখ করেননি। আমি এ নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি ওনাকে।
৫৯০০০ কোটি টাকার রাফাল ডিল সই হওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন পর্রীকর। ফ্রান্সের সঙ্গে ডিল চূড়ান্ত করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্রীকরকে সে ব্যাপারে অবগত করেননি বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। ডিল স্বাক্ষরের সময় অনিয়ম হয়েছে যার ফায়দা পেয়েছেন একজন শিল্পপতি, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছের লোক বলে দাবি তাদের। যদিও কংগ্রেস সহ বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মধ্যেই মোদি সরকারকে স্বস্তি দিয়ে গত ডিসেম্বর রাফাল ডিলের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে পেশ হওয়া পিটিশন খারিজ করে সু্প্রিম কোর্ট। বৈধ প্রক্রিয়া মেনেই ফ্রান্সের সঙ্গে রাফাল চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছিল বলে জানায় তারা। বহু বহু কোটি টাকার ওই ডিলে কাউকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও খারিজ করে শীর্ষ আদালত।