অ্যালজাইমার্সে ভুগছিলেন পোখরান, কার্গিলের আমলের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অল্পদিন আগে ধরা পড়ে সোয়াইন ফ্লু। জরুরি অবস্থার জমানায় ইন্দিরা গাঁধী সরকারের দিকে কঠোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া জর্জ এই রোগের ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেননি। ১৯৭৪ সালে ৮ থেকে ২৭ মে যে ঐতিহাসিক রেল ধর্মঘট হয়, সে সময় অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সভাপতি থাকা জর্জ ছিলেন তার হোতা। বেতন বৃদ্ধি ও কাজের সময় ৮ ঘণ্টা করার দাবিতে হয় এই ধর্মঘট, যোগ দেন ১৭ লক্ষ রেলকর্মী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জর্জের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। টুইট করে তিনি বলেছেন, জর্জ যেমন স্পষ্টবাদী ছিলেন, তেমনই ছিলেন নির্ভীক। মতাদর্শ থেকে কোনওভাবেই সরে আসেননি তিনি। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে তাঁর মরিয়া লড়াই স্মরণীয়।
ফেসবুক পোস্টে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও জর্জ ফার্নান্ডেজের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।
শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন জর্জ। তাঁর মন্ত্রিত্বেই পোখরান পরমাণু পরীক্ষা হয়, হয় কার্গিল সংঘর্ষ। আবার ১৯৭৭-এ জরুরি অবস্থা পরবর্তী নির্বাচনে ইন্দিরা গাঁধীর পরাজয়ের পর জনতা পার্টি সরকারের আমলে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন তিনি।