নয়াদিল্লি:  এসইউভি-র স্টিয়ারিংয়ের পিছনে ছিলেন কুড়ি বছরের ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ছাত্রী। রাস্তায় পথচলতি এক গৃহহীন ৫০ বছর বয়সি প্রৌঢ়াকে প্রথমে ধাক্কা মেরে পিষে দিয়ে, তারপর টানতে টানতে প্রায় তিনশো মিটার টেনে নিয়ে যান ওই তরুণী। যদিও সেসময় তাঁকে গাড়ি থামাতে একাধিকবার বলা হয়। পরে পুলিশ পিকেট করে এসইউভিটিকে থামায়। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির অভিজাত কনটপ্লেসের শহীদ সিংহ মার্গে, রবিবার রাতে।

 

অভিযুক্ত তরুণীর নাম শ্রেয়া অগ্রবাল। বরেলির বাসিন্দা। সেসময় গাড়িতে তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বান্ধবী বেবি রানি এবং মেঘা। মুম্বইয়ে এক প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কোর্স করছেন ওই তরুণী। পরে পুলিশ পিকেটের কাছে তাঁকে থামান পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয়। আপাতত ওই তরুণী জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

পুলিশের দাবি, মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে ভয় পেয়ে যান ওই তরুণী। তারপর সেখান থেকে পালাতে গিয়ে প্রৌঢ়াকে টানতে টানতে আরও তিনশো মিটার অবধি টেনে নিয়ে যান তরুণী। গাড়ির বাঁদিকের রিয়ার হুইলে আটকে গিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়া।

ওই ঘরছাড়া মহিলাকে পরে চিহ্নিত করা হয়। সেই মহিলার নাম ফুলবতী। দুর্ঘটনার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিতসকরা প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের কথায়, গাড়িটাকে উল্টে প্রৌঢ়াকে বের করতে হয়।  গাড়িটিকে থামাতে ব্যারিকেড পর্যন্ত তৈরি করতে হয়। পুরো ঘটনাস্থলই ছিল এককথায় বিভীষিকাময়।

মহিলার স্বামী দু বছর আগে টিবি আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন ওই মহিলাই। ১৯ বছরের ছেলে এখনও কোনও চাকরি পাননি। কনটপ্লেসে শিবমন্দিরে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন ওই মহিলা।