নয়াদিল্লি: ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালে স্থগিতাদেশ দিল না দিল্লি হাইকোর্ট। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারত বায়োটেককে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি ভারত বায়োটেককে নাবালকদের উপর কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল ও বিচারপতি জ্যোতি সিংহ নাবালকদের উপর কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমোদন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে সম্মত হননি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারত বায়োটেকের অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা ব্যক্তির নাম সঞ্জীব কুমার। তাঁর দাবি, ‘শিশুদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যখন স্বেচ্ছায় নিজের কাজের পরিণাম বুঝতে পেরে তারপর সেই কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন, একমাত্র তখনই তাঁকে স্বেচ্ছাসেবক বলা যায়। যে শিশুরা এখনও চুক্তিপত্র পড়তে পারে না বুঝতে পারে না, তাদের স্বেচ্ছাসেবক বলা যায় না। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এমন অনেক শিশুকে যুক্ত করা হচ্ছে, যারা ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না। তারা সব কথা বুঝতেও পারে না। ফলে তাদের কোনওভাবেই স্বেচ্ছাসেবক বলা যাবে না।’
এই বক্তব্য শোনার পর কেন্দ্র ও ভারত বায়োটেককে নোটিস পাঠালেও, ট্রায়াল স্থগিত রাখতে বলেনি আদালত।
ভারত বায়োটেক সূত্রে খবর, ৫২৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাকসিনের এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হবে। প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
গতকালই এ বিষয়ে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ড. ভি কে পল জানান, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই পরীক্ষা শুরু হবে।