চিকিৎসা কেন্দ্রে ওই রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। ওই রোগী নিকমের অধীনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুনের মার্কেট ইয়ার্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিকম বলেন, সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ জরুরি একটি কলে জানতে পারি, ওই বয়স্ক রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল অনেকটাই কমে গিয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শের পর আমি তাঁকে বড় কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিই।
নিকম জানিয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা কেন্দ্রের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। কিন্তু কিন্তু মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে তার চালক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর স্যালাইন চলছিল। এই অবস্থায় অন্যত্র অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু অন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় সহকর্মী চিকিত্সককে নিয়ে নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের স্টিয়ারিং ধরেন নিকম। প্রথমে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে আইসিইউ বেড পাননি তাঁরা। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়ায় সেখানে রোগীকে ভর্তি করা হয়।
পার্বতী এলাকায় নিজস্ব ক্লিনিক রয়েছে বিএইচএমএস চিকিৎসক নিকমের। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের একটি ফোরাম রয়েছে। সেই ফোরামের সদস্য চিকিত্সকরা মার্কেট ইয়ার্ডের কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিষেবা দেন।
বর্তমানে ওই রোগীীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন নিকম। নিকমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওই রোগীর ছেলে। তিনি বলেছেন, নিকম ও পুরোহিতদের মতো চিকিৎসকই প্রকৃত 'করোনা যোদ্ধা'।