ডমিনিকা: ভারত থেকে ফেরার হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সির অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল ডমিনিকার আদালত। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে তাঁর এই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।  চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিগা ও বারমুডা যাওয়ার ব্যাপারে মেহুল চোক্সির অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে ডমিনিকার আদালত।


কঠোরভাবে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কারণে অ্যান্টিগায় চিকিৎসার জন্য যেতে তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে। যাতায়াতে সক্ষম থাকার মতো অবস্থা হলেই তাঁকে ডমিনিকায় ফিরতে হবে। এই শর্তে তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে। 


অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে ডমিনিকার আদালত মেহুল চোক্সিকে ১০ হাজার ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান ডলার সিকিউরিটি হিসেবে জমা দিতে বলেছে। 


ভারত থেকে ফেরার হওয়ার পর ২০১৮ থকে অ্যান্টিগা ও বারমুডাতে থাকছিলেন মেহুল চোক্সি। কিছুদিন আগে সেখান থেকেও নিরুদ্দেশ হয়ে যান এবং গত ২৩ মে প্রতিবেশী দেশ ডমিনিকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ডমিনিকার অভিবাসন মন্ত্রক তাঁকে নিষিদ্ধ অভিবাসনকারী বলে ঘোষণা করেছিল। 


এর আগে ফেরার হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সির অভিযোগ ছিল, ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের কথায় তাঁকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।  তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া খারিজের দাবিতে তিনি ডমিনিকার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্যারিবিয়ান দেশের অভিবাসন মন্ত্রী, পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।


মেহুল চোক্সির আইনজীবী বিজয় অগ্রবাল জানিয়েছেন, চিকিৎসার পর যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফিট হয়ে ওঠা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এরপরই তাঁকে ডমিনিকায় ফিরে আসতে হবে। 


তিনি আরও জানিয়েছেন, অবৈধভাবে প্রবেশ ও বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত মামলা স্থগিত রাখা হয়েছে। স্নায়ুঘটিত শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন মেহুল চোক্সি। তাঁর যুক্তি ছিল, এই অসুস্থতার চিকিৎসা ডমিনিকায় হয় না। তাঁকে অবিলম্বে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়টি থেকেও ডমিনিকার আদালত অন্তর্বর্তী রেহাই দিয়েছে। 


এটি ছিল মেহুল চোক্সির দ্বিতীয় জামিনের আর্জি। এর আগে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ডমিনিকার হাইকোর্ট তখন বলেছিল, ডমিনিকার সঙ্গে মেহুল চোক্সির কোনও সম্পর্ক নেই। আদালত এমন কোনও শর্ত আরোপ করতে পারে না, যাতে নিশ্চিত করা যায় তিনি ফেরার হবেন না। 


উল্লেখ্য, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাড়ে তেরো হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার জন্য ভারত হাতে পেতে চাইছে মেহুল চোক্সিকে।