জয়পুর: দেশের তিন রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল ৬৮ জনের। রাজস্থানে বজ্রপাতে মৃত্যু হল ২০ জনের। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে ৪১ এবং মধ্যপ্রদেশে সাতজনের মৃত্যু হয়। রাজস্থানে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 


বর্ষার শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বজ্রপাতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্যকর। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের লোকজনকে সাহায্য করতে হবে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।


রাজস্থানের কোটার সাংসদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। ট্যুইট করে লোকসভার স্পিকার জানিয়েছেন, ‘কোটা সংসদীয় কেন্দ্রের কাঁওয়াস তেহসিলের গারদা গ্রামে বজ্রপাতে চারটি শিশুর মৃত্যু, কয়েকটি শিশুর আহত হওয়ার ঘটনা এবং ঢোলপুর জেলার বারি অঞ্চলে তিনটি শিশুর মৃত্যু হৃদয়বিদারক। এই শোকের সময় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই।’


গতকাল জয়পুরের আমের ফোর্টে ওয়াচ টাওয়ারের উপর বজ্রপাত হয়। ফলে সেখানে থাকা অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া কোটায় চারজন, ঢোলপুরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 


আমের ফোর্টে বজ্রপাতে ১৭ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের যৌথ দল তাঁদের উদ্ধার করে জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোটা, ঢোলপুর, ঝালোয়ার, জয়পুর ও বারানে বজ্রপাতে এতজনের মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাঁদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। এই পরিবারগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব সহায়তা প্রদান করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’