নয়াদিল্লি: উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিকেও তিনি টেনে এনেছেন এক ট্যুইটে। রবিবার রায়বেরিলিতে উন্নাওয়ের নির্যাতিতা যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, তাতে সজোরে ধাক্কা মারে জোরে ছুটে আসা একটি ট্রাক। ১৯ বছরের মেয়েটি, তাঁর আইনজীবী মারাত্মক জখম হন, মারা যান তাঁর পরিবারের দুই মহিলা। উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগার মেয়েটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছেন আগেই। দাবি করা হচ্ছে যে, ধর্ষণ মামলা চাপ দিয়ে তোলানোর জন্য ভয় দেখাতেই ষড়যন্ত্র করে গাড়ি দুর্ঘটনা করানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও আঙুল তোলা হচ্ছে সেনগারের দিকেই।


এই প্রেক্ষাপটেই কংগ্রেস নেতার ট্যুইট, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও। ভারতীয় মহিলাদের জন্য একটা নতুন শিক্ষামূলক বুলেটিন এটা। বিজেপি নেতা আপনাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হলে কোনও প্রশ্ন তুলবেন না! গতকালের ঘটনার মিডিয়া রিপোর্টও ট্যুইটে ট্যাগ করেছেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, উন্নাওয়ের মাখি থানার বাসিন্দা এক মহিলা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাঙ্গেরমউ কেন্দ্রের চারবারের জনপ্রতিনিধি, বিজেপি এমএলএ কুলদীপ সিংহ সেনগার ২০১৭-য় নিজের বাড়িতে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারি বাসভবনের বাইরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ট্যুইট করে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও প্রশ্ন তুলেছেন, যে বিজেপির এক বিধায়কের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের কাছে ন্যয়বিচার পাওয়া যাবে কিনা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঘটনাটি মর্মান্তিক। এই মামলায় সিবিআই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? অভিযুক্ত বিধায়ক কেন এখনও বিজেপিতে? নির্যাতিতা ও সাক্ষীদের নিরাপত্তায় এমন গাফিলতি কেন? এই প্রশ্নগুলির উত্তর না পেলে বিজেপি সরকারের কাছে কোনও ন্যয়বিচার আশা করা যায়?
কলকাতার খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নাওয়ের ধর্ষিতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গতকালের দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের দল গঠনের অনুরোধ করেছেন। পিটিআইয়ের খবর, সোমবার এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেছেন, উন্নাওয়ের ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গড়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মমতা আরও বলেন, প্রতিদিনই গণপিটুনি হচ্ছে। দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের দিকে নজর দিন।