নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও গ্যালারি (এনএমএমএল)-র ‘ধরন, চরিত্র’ বদলের উদ্যোগের খবরে উদ্বেগ জানালেন মনমোহন সিংহ। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর স্মৃতিতে তিনমূর্তি হাউসে গড়ে উঠেছিল মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও গ্যালারি। সেখানকার বেশ কয়েকটি কক্ষ নেহরুর মৃত্যুর সময় যে অবস্থায় ছিল, ঠিক সেভাবেই সংরক্ষিত রয়েছে। মোদীকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, তিনমূর্তি কমপ্লেক্স যেমন আছে, সেভাবেই রাখা হোক, তার গায়ে যেন হাত না পড়ে।


কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও গ্যালারিকে দেশের সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধায় উত্সর্গ করা হবে। কংগ্রেস প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করছে।

সংসদে নেহরুকে একজন ‘জীবন্ত ব্যক্তিত্ব’ বলে উল্লেখ করে মনমোহন লিখেছেন, তিনমূর্তির শোভা এভাবে আর কেউ বাড়াবেন না। আসুন, এই সেন্টিমেন্টকে মর্যাদা দিয়ে তিনমূর্তিকে আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহরুর প্রতি শ্রদ্ধা হিসাবে রেখে দিতে, তিনমূর্তি কমপ্লেক্স যেমন আছে, সেভাবেই অক্ষত রাখা হোক। এভাবেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সম্মান দেওয়া সম্ভব। নেহরু শুধু কংগ্রেসের নন, গোটা দেশের, এই ভাবনা থেকেই আপনাকে চিঠি লিখছি বলেও উল্লেখ করেছেন মনমোহন।

মনমোহনের সওয়াল, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও গ্যালারিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও ভারত জাতি, রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাতার স্মরণে নিবেদন করা হয়েছে। আমাদের দেশ ও বিশ্বে গভীর প্রভাবের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। নেহরুর রাজনৈতিক বিরোধী, প্রতিদ্বন্দ্বীরা পর্যন্ত ওনার স্বকীয়তা, মহত্ত্ব স্বীকার করেছেন।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ক্ষমতায় থাকাকালে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও গ্যালারির মূল চরিত্র, ধরন বদলের কোনও চেষ্টা হয়নি, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সেটাই বর্তমান ভারত সরকারের এজেন্ডার অংশ মনে হচ্ছে বলেও অনুযোগ করেছেন মনমোহন। লিখেছেন, বাজপেয়ীও সংসদে বলেছিলেন, নেহরু ছিলেন একজন পরিশীলিত ভদ্রজন যিনি বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে চলতেন, এমন মহত্ব ভবিষ্যতে আমরা নাও দেখতে পারি।