হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, আদালতের নির্দেশ কমিটিগুলোকে দেবে পুলিশ। লিফলেটে ছাপিয়ে সেগুলি কমিটিগুলিকে দেবে পুলিশ। কাজ সম্পূর্ণ হল কি না, তা হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেবেন ডিজি।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, 'আমাদের সাধ্য মতো সাহায্য করব ক্লাবগুলোকে। ওদের হাতে টাকা নেই। প্রায় ৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম রেজিস্টার রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতায় আড়াই হাজার। মহিলা পরিচালিত পুজোও রয়েছে। এ বার পরিস্থিতি খারাপ। তাই পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে ভালবাসার উপহার দেওয়া হবে।'
গত সেপ্টেম্বরেই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে এই অনুদানের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুসারে, প্রায় ৩৭ হাজার ক্লাবকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুজোর অনুদান দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে তা মিলছে না।
এর বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন দুর্গাপুরের সিটু নেতা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কোনও আলঙ্কারিক অনুষ্ঠানে সরকারের টাকা খরচ করা যাবে না। কর্মকর্তাদের বিনোদনেও খরচ করা যাবে না সরকারি টাকা।
করোনা আবহে মাস্ক যেমন ‘মাস্ট’,তেমনই জরুরি স্যানিটাইজারও। তাই সরকারের থেকে পাওয়া অনুদানের ৭৫% টাকা খরচ করতে হবে মাস্ক-স্যানিটাইজারে। ২৫% খরচ করা যেতে পারে পুলিশের সঙ্গে জনসংযোগে।
আদালত বলে, দল নির্বিশেষে প্রত্যেকে আমলাতন্ত্রের মেরুদণ্ড ভেঙেছেন। আমলাতন্ত্র মজবুত হলে এই অবস্থা হয় না। বিচার-বুদ্ধিতে আমলারা আপনাদের থেকে এগিয়ে, মন্তব্য হাইকোর্টের।