নয়াদিল্লি: ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে রিগিং হয়েছিল, ইভিএমও হ্যাক করা সম্ভব বলে স্বঘোষিত হ্যাকারের দাবিতে আলোড়ন চলছে। নিজেকে সাইবার বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে লন্ডনে গতকাল সঈদ সুজা নামে ওই ব্যক্তি যা বলেছেন, সে ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর দায়ের করতে বলল নির্বাচন কমিশন। তারা চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশকে। তাতে বলা হয়েছে, সুজার দাবিতে গুজব ছড়ানো হয়েছে, যাতে মানুষ আতঙ্কিত হতে পারেন। তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ (১) ধারা ভেঙেছেন। কমিশন পুলিশকে সুজার দাবি দ্রুত খতিয়ে দেখতে বলেছে। গতকালই কমিশনের পক্ষ থেকে সুজার চাঞ্চল্যকর বক্তব্য উড়িয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইভিএম মেশিন পুরোপুরি নিরাপদ, কোনওভাবে তাতে বিকৃতি করে কলকাঠি নাড়া সম্ভব নয়।
গতকাল সুজা দাবি করেন, তিনি ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রাক্তন কর্মী। ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছে তাঁর দাবিকে কেন্দ্র করে। স্কাইপ মারফত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে ২০০টি আসনে কংগ্রেস জিততে পারত। রিগিং করে সেই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির অনুকূলে ফলাফল বের করা হয়। দেশের নানা জায়গায় ইভিএমে মিলিটারি গ্রেডের মডিউলেটরের মাধ্যমে তথ্য বিকৃত করে বিজেপিকে জেতানো হয়। যদিও দাবির স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করেননি তিনি। ভারতে তাঁর প্রাণ সংশয় হওয়ায় তিনি পালিয়ে আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলেও দাবি করেন সুজা।
ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন ও ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সুজার কী করে ইভিএম হ্যাক করা হয়, তা হাতেকলমে দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা দেখাননি। সুজা দাবি করেন, তিনি সম্প্রতি আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব ইভিএম হ্যাক করে দেখানোর কথা, সেগুলি ভারত থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।