পাল্টে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ জুগনাথ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক, বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি কে সিংহ।
কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে মোদি বলেন, ওরা রোগটা কী, বুঝতে পেরেছিল, স্বীকারও করেছিল, কিন্তু সে ব্যাপারে ভাবেওনি, সারাতেও কিছু করেনি। এতগুলি বছর একটা দল দেশ শাসন করেছে, সিস্টেমটা বানিয়েছে, সত্যিটা তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী স্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের কথা, এই লুঠ, অপচয় রোখার কোনও চেষ্টাই হয়নি। একদিকে দেশের মধ্যবিত্তরা সততার সঙ্গে কর দিয়ে গিয়েছেন, অন্যদিকে এই ৮৫ শতাংশ ‘লুঠ’ও অব্যাহত থেকেছে। আজ আপনাদের সত্যিটাও বলতে চাই। এই ৮৫ শতাংশ লুঠ পুরোপুরি রুখতে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। গত সাড়ে চার বছরে আমাদের সরকার নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি ৫ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা আমজনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলেছে। কারও বাড়ি, কারও শিক্ষা, বৃত্তি বা গ্যাস সিলিন্ডার ও এই ধরনের নানা কারণে টাকা দিয়েছে। এবার ভাবুন, পুরানো সিস্টেমেই যদি দেশ চলত, তাহলে আজ এই ৫ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকেও হয়তো সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকা উধাও বা গায়েব হয়ে যেত। আমরা সিস্টেম না বদলালে এই টাকাও লুঠ হয়ে যেত, যেমনটা হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ভুল শুধরানোর পদক্ষেপগুলি আগেও নেওয়া যেত, কিন্তু তার কোনও সদিচ্ছা বা উদ্দেশ্য ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ৭ কোটি ভুয়ো মানুষকে চিহ্নিত করেছে, যারা সরকারি সুবিধা নিয়েছে। বলেন, শুধু ভাবুন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালির মতো অনেক দেশের জনসংখ্যারও থেকেও বেশি লোক, যাদের অস্তিত্ব ছিল শুধুমাত্র কাগজে, সরকারি সুযোগসুবিধা ভোগ করেছে।