ইডি সূত্রে খবর, ডিয়াজিও স্কটল্যান্ড লিমিটেড, কাটারা হোল্ডিংস, এসার স্টিল লিমিটেড ও এলফর্জ লিমিটেডকে বেআইনিভাবে এফআইপিবি-র ছাড়পত্র পাইয়ে দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী। একটি ভুয়ো সংস্থাতেই ঘুষের ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়ে। এই বেআইনি আর্থিক লেনদেনে চিদম্বরমের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ও আইএনএক্স মিডিয়ায় মামলায় অর্থপাচারের অভিযোগে বিপাকে চিদম্বরম। গতকাল তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে না। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। ফলে স্বস্তি মিলল না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর।
ইডি ছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগে চিদম্বরম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে বেআইনিভাবে নেওয়া টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও তাঁর ছেলে। তাঁরা মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, স্পেনের মতো দেশে অস্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন এবং বিদেশি ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ জমা করেছেন বলেও অভিযোগ। কার্তি একটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের একটি সংস্থার কাছ থেকে বিপুল অর্থ নেন বলেও অভিযোগ। তাঁর স্পেনে টেনিস ক্লাব, ব্রিটেনে বাড়ি আছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারীদের। চিদম্বরম ও তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা। সেটি এখন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।