নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রোখার লক্ষ্যে মার্চের শেষদিক থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর শুরু হয়েছে আনলক, এখন যার চতুর্থ পর্যায় চলছে। দেশে করোনা সংক্রমণ কমেনি, কিন্তু এর মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ২ কোটিরও বেশি বেতনভুক কর্মী। এর মধ্যে জুলাইয়ে কাজ হারান প্রায় ৪৮ লক্ষ কর্মী। অগাস্টে কাজ হারিয়েছেন ৩৩ লক্ষ কর্মী। এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ১০ লক্ষ কর্মী। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) রিপোর্টে এমনই ভয়াবহ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।


সিএমআইই-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘২০১৯-২০ সালে যেখানে ভারতে বেতনভুক কর্মীর সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৬০ লক্ষ। যা এ বছরের অগাস্টে কমে হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি। সব ধরনের কর্মীরাই কাজ হারিয়েছেন। জুলাইয়ে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪০ শতাংশ। অগাস্টে বেকারত্বের হার বেড়ে হয় ৮.৩৫ শতাংশ। জুলাইয়ে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৩৭ শতাংশ। অগাস্টে সেই হার বেড়ে হয় ৯.৮৩ শতাংশ। গ্রামে বেকারত্বের হার সেই তুলনায় অনেক বেড়েছে। জুলাইয়ে যেখানে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫১ শতাংশ, অগাস্টে তা বেড়ে হয় ৭.৬৫ শতাংশ। এপ্রিলে দেশজুড়ে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪ শতাংশ। অগাস্টে তা বেড়ে হয় ৮.৪ শতাংশ। এই সময়ে কর্মসংস্থানের হার ৩৭.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ।’

সিএমআইই-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমানে যে আর্থিক পরিস্থিতি, তার ফলে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন বেতনভুক কর্মীরা। পরিচারক, রাঁধুনি, গাড়িচালক, মালি, নিরাপত্তারক্ষীর মতো বেতনভুক কর্মীদের ধরলে ভারতের মোট কর্মীর ২১ থেকে ২২ শতাংশ হয়। এই ক্ষেত্রে করোনার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে।