কলকাতা: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুর ড্রাগ যোগের তদন্তে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো! এই গ্রেফতারি ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত বলিউড। রিয়ার আইনজীবী দাবি করেছেন,মানসিক রোগে ভুগছিলেন সুশান্ত। মাদকাসক্তকে ‍‍ভালোবেসেছিলেন রিয়া।


এই মামলায় কার্যত এক 'মধ্যবিত্ত পরিবারকে' ধ্বংস করে দেওয়া হল। দাবি করেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। রিয়া বাঙালি বাবার সন্তান। মা কোঙ্কনি। বাংলায় না থাকলেও পরিবারের শিকড় রয়েছে এখানেই।

রিয়ার জন্ম ব্যাঙ্গালোরে। কিন্তু, বাবা সেনাবাহিনীর চিকিৎ‍সক হওয়ায় বেড়ে ওঠা দেশের নানা প্রান্তে। তবে রিয়ার আদি বাড়ি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির তুনতুড়ি গ্রামে। এখনও চক্রবর্তী পরিবারের গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২২ বছর আগে শেষবার রিয়া বাবার সঙ্গে এসেছিলেন গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজোয়।

কিন্তু রিয়ার গ্রেফতারির পর পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে তাঁর আদি বাড়ির গ্রামের বাড়ির লোকজনের মুখে কুলুপ! প্রতিবশী যতীন্দ্রনাথ চট্টরাজ জানান, অনেক আগে চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরা এখানে আসতেন দুর্গাপুজোয়। তবে ইদানীং কেউ আসেননি। এখন রিয়াকে নিয়ে যা সব চলছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার তুনতুড়ি গ্রামে বহু বছর আগে থাকতেন রিয়ার পূর্বপুরুষরা। রিয়ার দাদু শিরীষ চক্রবর্তীও একসময় থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। পরে তিনি কর্মসূত্রে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে চলে যান। রিয়ার বাবা ও কাকার জন্ম ধানবাদে।

এখন গ্রামের বাড়ির জীর্ণদশা। দরজায় ঘূন। চারপাশে জঙ্গল। দুর্গা মন্দিরেরও ভগ্নদশা।
তবে চক্রবর্তী পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে এখনও প্রতিবছর দুর্গোপুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, রিয়ার বাড়ির দুর্গাপুজো প্রায় ৩২৩ বছরের পুরনো।
কেউ কেউ বলছেন, গ্রামের উন্নতিতে চক্রবর্তী পরিবারের অনেক অবদান। স্কুলের জমি থেকে সেবামূলক কাজ, ওঁরা অনেক দান করেছেন গ্রামের উন্নয়নে। এই ঘটনায় ওই পরিবারের সদস্যরা কীভাবে জড়িয়ে গেল তা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।

গ্রামের মেয়ের গ্রেফতারের খবর শুনে মনখারাপ তুনতুড়ির। তবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।