কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হককে আনা হচ্ছে কলকাতায়। সিবিআই সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ‘গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে পশ্চিমবঙ্গের ৩ জেলা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকেই সংগঠিত অপরাধ। বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের বাজেয়াপ্ত করা গরু নিলামে কেনা হত। নিলামে গরু কিনে ৭ গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হত। ইতিমধ্যেই বসিরহাট, মালদা ও মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল। এনামুলকে জেরায় বসিরহাটের এক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে।’


গতকাল এনামুলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এনামুল। ওই ব্যবসায়ীর প্রভাবশালী যোগ রয়েছে। এনামুলকে ধরতে কয়েকমাস ধরেই তৎপর ছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। অবশেষে দিল্লি থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ৫ তারিখ মানিকতলা সহ চার জায়গায় তল্লাশি চালাল চারটি দল। সিবিআইয়ের ২০ থেকে ২৫ জন অফিসার চারটি দলে ভাগ হয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালান। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারকাণ্ডের টাকা পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের হাতেও। গরু পাচার চক্রের বিপুল অঙ্কের টাকা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করে গত সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। ব্যবসায়ী এনামুল ছাড়াও, চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওঠে বিএসএফের কমান্ডান্ট পদমর্যাদার অফিসার সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। সল্টলেকের বাড়িতে ওই বিএসএফ অফিসারকে না পেয়ে, তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

সিবিআই সূত্রে দাবি, এক মাসের তদন্তে আরও অনেক তথ্য মিলেছে। জানা গিয়েছে, গরুপাচারকাণ্ডের টাকা একাধিক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছে। গত ৫ তারিখ মানিকতলার আবাসনে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই।