নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট দলের উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি) অথবা আইপিএলে মেন্টরের দায়িত্ব – যে কোনও একটা ভূমিকা বেছে নেওয়ার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভি ভি এস লক্ষ্মণকে নির্দেশ দিলেন ভারতীয় বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং আইপিএলে মেন্টর হিসাবে দ্বৈত ভূমিকা যে আসলে স্বার্থের সংঘাত ঘটাচ্ছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন এথিক্স অফিসার।


আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর সৌরভ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে একই দায়িত্বে রয়েছেন লক্ষ্মণ। সৌরভ আবার সিএবি প্রেসিডেন্টও। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জৈন বলেছেন, ‘লোধা কমিটি এক ব্যক্তি এক পদের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছিল। সেটাই সামনে আনার চেষ্টা করেছি। সচিন তেন্ডুলকরের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা নেই কারণ ও উপদেষ্টা কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সৌরভ ও লক্ষ্মণের ক্ষেত্রে স্বার্থ সংঘাত ঘটছে এবং যে কোনও একটি ভূমিকায় ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত ওদের নিতে হবে।’

প্রসঙ্গত, সচিন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরও ছিলেন। পরে উপদেষ্টা কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান সচিন। জৈন বলেছেন, ‘সৌরভ ও লক্ষ্মণকে নির্দেশ পাঠিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করিনি।’

পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা এবং ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজ একসঙ্গে করার জন্য রবিন উথাপ্পা, ইরফান পাঠান, মনোজ তিওয়ারিদের বিরুদ্ধেও স্বার্থের সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগ উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের এথিক্স অফিসার। জৈন বলেছেন, ‘এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও খেলে চলা ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠতে পারে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়ার জন্য ওদেরও তৈরি থাকতে হবে। ধারাভাষ্য দেওয়া থেকে কাউকে আটকাচ্ছি না। বোর্ডের সংবিধানে স্বার্থের সংঘাত কী সেটা শুধু ব্যাখ্যা করতে চাইছি। ক্রিকেটারদের উচিত ওদের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে কি না সেটা নিয়ে ভাবা। এই প্রথম আমি নিয়মটা পরীক্ষা করে নিজের মতামত জানালাম এই আদেশে। জানি না বোর্ড এটা মেনে নেবে কি না। কেউ চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে করতেই পারে।’