নয়াদিল্লি :  কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহারে বিল আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন। ক্যাবিনেটে সবুজ সঙ্কেত মেলার পর, আগামী সপ্তাহে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা। এদিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারে বিল আনা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়।


২০২০-র সেপ্টেম্বরে, কৃষি আইন চালু করার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মোদি সরকার। গত দু’বছর ধরে, দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে মোদি সরকারের আনা ৩টি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই আন্দোলন চালিয়ে গেছেন কৃষকরা।  চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর, তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার সকালে আচমকাই জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে, কৃষকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 


এর পাশাপাশি আজকের বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় গরীব মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার মেয়াদ আগামী বছরের মার্চ মাস মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ এমাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।  এর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। এরপরই পঞ্জাবের কয়েকজন কৃষক মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের সাধুবাদ জানান। কৃষকদের মাঠে ফেরার আবেদনও করেন। 






 


২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা। এই ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শুরু করেন রাহুল গাঁধী। তিনি গত ১৪ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন, এই আইন আগামীদিনে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্র। ১৯ নভেম্বর ঠিক তাই হল।  দেশের অন্যান্য বিরোধী দলও সরব হয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে।  হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়।  আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন।  তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।